নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী থানা এলাকার কেচন্দা সহ একাধিক গ্রাম। ভেলাইডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেচন্দা এবং আশেপাশের মহুলবনি, খামার, পতিরাজপুর, রংপুর, বাঁশগড়, বাঁকশোল গ্রামে ঝড়ের প্রভাব থাকলেও মূল ঝড় বয়ে যায় কেচন্দা গ্রামটির ওপর দিয়েই আর তার ফলে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় গ্রামটি। গ্রামের একাধিক বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে প্রচুর গাছ। তবে অন্তত অর্ধ শত বছরের একটি বিশালাকার বৃক্ষ উপড়ে পড়ায় মানুষ অবাক হয়ে যান। গ্রামবাসীদের অনেকেই বলেছেন অনেক বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও গাছটির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। এর থেকেই প্রমানিত হয় যে ঝড়টি কত শক্তিশালী ছিল।
গ্রামের মধ্যে থাকা একটি অস্থায়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে। ঝড়ের তান্ডবে জট পাকিয়ে গেছে বিদ্যুতের তার। বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে পুরো গ্রামটি। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় এদিন, গ্রামের রাস্তা সহ আশেপাশের এলাকা জলে থই থই করতে থাকে। গ্রামবাসীরা জানায় চারটা নাগাদ হঠাৎই ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আর প্রবল মেঘ গর্জন করতে শুরু করে আর বিদ্যুতের ঝলকানি শুরু হয়। এরপরই হওয়া বন্ধ হয়ে চারদিক থম মেরে যায় আর পলকেই জোরালো হওয়া শুরু হয়ে যায় সঙ্গে বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। এরপরই হওয়ার গতি বেড়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে এবং সর্বাধিক গতির ঝড় শুরু হয় সাড়ে চারটা নাগাদ।
রঞ্জিত মাহাত নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘ঝড় ও বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আমরা ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলাম। প্রথম দিকে সাধারন ঝড় বৃষ্টির মতই হচ্ছিল কিন্তু হঠাৎই ঝড়ের গতি বেড়ে যায়। একসময় মনে হচ্ছিল ঘর সমেতই উড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাদের সবাইকে। তারই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। ঘরের মধ্যে থেকেই কড়কড় আওয়াজ আর টিনের ঝাপট শুনতে পাচ্ছিলাম। কারও ঘরের টিন উড়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি। এরপরই বিকট আওয়াজ করে কিছু একটা পড়ে গেল। ঝড়ের গতি কমতেই বাইরে বেরিয়ে দেখি বিশালকায় গাছ উপড়ে একজনের খড়ের গাদার ওপর পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের তার জট পাকিয়ে গেছে আর অনেকের বাড়ির চাল উড়ে গেছে। টিনগুলো পড়ে রয়েছে পাঁচ সাতশ মিটার দুরে।’