নিজস্ব সংবাদদাতা: হাওয়া অফিসের হিসাব মিলিয়ে দিল ভোরের বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলেছিল বছরের মুখেই বৃষ্টি হবে। সেই মত বৃহস্পতিবারই বৃষ্টিতে ভিজেছিল উত্তরবঙ্গের একাংশ। বিশেষ করে দুই দিনাজপুরের কিছু অংশে। আর শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ভোর, বৃষ্টি ভিজিয়ে দিল খড়গপুর মেদিনীপুর সহ দক্ষিনবঙ্গের বেশ কিছু অংশ। বৃষ্টি হয়েছে কলকাতারও বেশ কিছু অঞ্চলে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অসময়ে এই বৃষ্টির কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পুবালি হাওয়ার সংঘাতে এই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল ঘূর্ণাবর্তের জেরী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণাবর্তের হাওয়া যত শহরের ভিতরে প্রবেশ করেছে তত পূর্ব দিন থেকে হাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। একদিকে পাহাড়ের দিক থেকে আসা ঝঞ্ঝা অপরদিকে সমুদ্রের দিক থেকে আসা পূবালী হাওয়া। ফল সকালেই দক্ষিনবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোররাত থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় কৃষি দপ্তর গুলির হিসাব বলছে শুক্রবার সকাল ৭টা অবধি এই এলাকায় গড় বৃষ্টির পরিমান ৩ মিলিমিটার। তবে দিনভর এই বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আকাশে ঘন মেঘের উপস্থিতি সেই সম্ভাবনাকে আরও গাঢ় করেছে। মেদিনীপুর ও খড়গপুর সংলগ্ন এলাকায় ঘন কালো মেঘ মাঝে মধ্যেই ঘন অন্ধকার করে দিচ্ছে পরিবেশকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৩ ডিসেম্বর শুক্রবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রামে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ও তার সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক অংশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বৃহস্পতিবার শীতের অনুভূতি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিল খড়গপুর মেদিনীপুরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুধবারের তুলনায় বেড়ে গিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ২৬ ডিগ্রি হয়ে যায়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে গরম পরিস্থিতির অন্যতম কারণ ঘুর্নাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার জেরেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি থামলে মেঘমুক্ত পরিবেশে আবারও জাঁকিয়ে বসবে হাড় কাঁপানো শীত।