নিউজ ডেস্ক: করোনার মাঝেই দেশ তথা বঙ্গবাসীর মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ ওরফে ‘ইয়াস’। এদিন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি আছি।‘ ঝড় মোকাবেলায় ‘সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের সব এজেন্সিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন যে, রাজ্যে ৪০০০ শিবির স্থাপন করা হয়েছে, ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। ৫১ টি দল গঠন করা হয়েছে। ১,০০০ পাওয়ার এবং ৪০০ মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার দল গঠন করা হয়েছে। ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২০ টি জেলা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমফানের থেকেও বড় হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। একইসঙ্গে তিনি জানান, আম্ফানের অভিজ্ঞতা থেকে এবছর আগে থেকেই সিইএসই-র কাছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে আবদেন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৪ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রাণশিবির গুলিতে। ত্রাণ শিবিরেও সকলকে সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্কও দেওয়া হবে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এছাড়াও চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রেনের বগির চাকা। ঝড়ের সময় যেন কোনও দুর্ঘটনা না হয়, সেই জন্য গার্ডের কোচের হ্যান্ড পাওয়ার ব্রেকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে ৫৮০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বুধবার দুপুরেই আছড়ে পড়বে পারাদ্বীপ-সাগরে মাঝামাঝি। পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিমির কাছে। দুই ২৪ পরগনায় ১০০ কিমি, কলকাতায় ৮০ থেকে ৯০ কিমির কাছে ঝড়ের সতর্কতা। রাত থেকেই কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, দফায় দফায় বৃষ্টি। কাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উড়িষ্যা দিয়ে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের ঢোকার সময় সমুদ্রে ২ থেকে ৪ মিটার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। উড়িষ্যা-বাংলা হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা ইয়াসের। গত বছর আম্ফানের তাণ্ডব দেখেছিল রাজ্যবাসী। আর এইবার ধেয়ে আসছে ইয়াস। জেলায় জেলায় তাই চলছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোড়জোড়। সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। মাইকে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।