নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ২বছরেই ভেঙে পড়েছে ৭লক্ষ লিটারের জলের ট্যাংক। ঘটনায় তৃনমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার আভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করতে এসে মন্ত্রী বলেন , কিভাবে এতবড় জলাধার ভেঙে পড়লো তা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার কে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তিনি জানান , এই কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত সে এজেন্সি হোক বা কোনো ইঞ্জিনিয়ার এর অবহেলার জন্য হোক তাঁকে বা সেই সংস্থা কে শাস্তি পেতে হবে।
এতবড় জলাধার ভেঙে পড়ার জন্য যাতে পানীয় জলের কষ্ট না হয় এজন্য সেখানকার সমস্ত মূল পাইপের সঙ্গে জল সরবরাহের পাইপ সংযোগ করা হয়েছে। তবে দ্রুত যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হয় এজন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য প্রথম ২ বছরের মধ্যেই ওভারহেট ট্যাঙ্কে ফাটল দেখে চমকে উঠেছিলেন বাঁকুড়ার সারেঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর বুধবার সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কংক্রিটের টুকরো থেকে ওড়া ধোঁয়া আর ট্যাঙ্কে মজুত জল পাশের জমিতে আছড়ে পড়ে। তবে সেই সময় আশপাশে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিরোধীরা এবিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ তুলেছে। আর মন্ত্রী বলছেন, গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্রাম। এই গ্রামেই তৈরি হয়েছিল সাত লক্ষ লিটারের জলের ট্যাঙ্ক। এই ট্যাঙ্ক থেকেই স্থানীয় গড়গড়্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে জল সরবরাহ করা হত। সেটি বুধবার ধূলিসাৎ হওয়ায় এলাকা জলে ভরে যায়।
বছর ২ আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের উদ্যোগে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল। বুধবারের এই ঘটনায় ট্যাঙ্কটি তৈরিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় মানুষ বলছেন, এবার তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাঁদের অভিযোগ, ট্যাঙ্ক তৈরিতে গাফিলতির কারণেই তা ভেঙে পড়েছে।