Homeএখন খবরচার দশকের প্রাচীর ভেঙে ফেলল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়! জনতার জন্য চালু হল আকাশবাণী

চার দশকের প্রাচীর ভেঙে ফেলল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়! জনতার জন্য চালু হল আকাশবাণী

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৯৮১ সাল থেকে এতদিন অবধি যা ছিল শুধুই ক্যাম্পাসের কিংবা দুর পাঠে সীমাবদ্ধ, যা ছিল পঠন পাঠন আর গবেষণায় সীমাবদ্ধ, যা ছিল শুধুই আ্যকাডেমিক আর শিক্ষক পড়ুয়ায় নিবিষ্ট সেই প্রাচীর ভেঙে ফেলল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাঙ্গনের বাইরে এবার জন উদ্যোগ ও জন শিক্ষনেও এগিয়ে এলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার, ২৬ শে সেপ্টেম্বর মহামতি বিদ্যাসাগরের ২০১ তম জন্ম দিনে বিশ্ব বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের গন্ডি বিমুক্তি করন করলেন উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী।

পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০বর্গ কিলোমিটার এলাকার জনসাধারণের জন্য ‘বেতার বিদ্যাসাগর’ নামক কমিউনিটি রেডিও স্টেশন উপহার দিলেন অধ্যাপক চক্রবর্তী। ৯০.৮ এফএমে তরঙ্গবাহী আকাশবাণী সম্প্রচারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাক্ষী রইলেন বিদ্যাসাগর গবেষক অমিয় সামন্ত, রেজিষ্ট্রার জয়ন্ত কিশোর নন্দী, অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু, অধ্যাপক সুব্রত দে সহ অতিথি অভ্যাগতরা।

বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরভরই ব্যতিক্রমী কর্মসূচী নিয়েছে পন্ডিত বিদ্যাসাগরের জন্মভূমিতে তাঁরই নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। যার মধ্যে নজর কেড়েছে ‘অবিকল বিদ্যাসাগর’ নামে বিদ্যাসাগরের সমস্ত রচনার দুর্লভ সংস্করনের প্রকাশ। বিদ্যাসাগর নামাঙ্কিত অধ্যাপকপদ সৃষ্টির পাশাপাশি চালু হয়েছে বিদ্যাসাগর পুরস্কার।এবার তাঁর নামে আস্ত একটি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের উদ্বোধন হয়ে গেল।

উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ব্যাসের আকাশসীমার এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশন থেকে সম্প্রচারিত হবে সাধারন সংস্কৃতিচর্চা থেকে শুরু করে আদিবাসী তথা লোকসংস্কৃতি চর্চাও হবে এখানে।  পাশাপাশি পঠনপাঠন সংক্রান্ত বিষয়, আবহাওয়া তথ্য প্রদান, কৃষি থেকে শুরু করে সাধারন ও বিজ্ঞান বিষয়েও আলোকপাত করা হবে। যা প্রতিনিয়ত জীবনধারনের কাজে লাগে। আপাতত সপ্তাহে দুই বা তিন দিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। রঞ্জনবাবুর কথায় প্রস্তুতি নিতে কিছুটা সময় লাগবে। তারপর ধাপে ধাপে সময়সীমা বাড়ানো হবে।

প্রায় ২৫ লাখ টাকা বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক ওই রেডিও স্টেশনে উপাচার্যকে মুখোমুখি বসিয়ে একটি সাক্ষাৎকার নিয়েও নিলেন কলকাতার রেডিও জকি অরিন্দম চক্রবর্তী। স্টেশনের বাইরে বুঁদ হয়ে তা শুনলেন শ্রোতারা। কয়েকজন কর্মী নিয়োগের পরই সময়সূচি তৈরি করে ধারাবাহিক ভাবে এই স্টেশন থেকে সম্প্রচার শুরু হতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু তা শুরু করতে সব প্রক্রিয়া চলছে। অধ্যাপক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এধরনের উদ্যোগ জেলায় এই প্রথম।

RELATED ARTICLES

Most Popular