নিজস্ব সংবাদদাতা: অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো ১১তে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ১টি শিশুও। এছাড়া ২৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় কিং জর্জ হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলাকারি দল ছুটে গেছেন দুর্ঘটনায় দায়ী প্ল্যান্ট লাগোয়া গ্রামগুলিতে। অন্তত ১০০০ জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকার মৃতদের পরিবার পিছু ১কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষনা করেছেন। পাশাপাশি ভেন্টিলেশনে থাকা ব্যক্তিদের এখুনি ১০ হাজার টাকা এবং যাঁরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাঁদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী জগমোহন রেড্ডি।
গ্রেটার বিশাখাপত্তনম মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষে সমস্ত গোপালপত্তনমের এল.জি. পলিমার থেকেই গ্যাস লিকের ঘটনাটি ঘটেছে বলে চিহ্নিত করে নাগরিককে ঘরের ভেতরে থাকার আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, নিজেদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে সবাই ঘরের মধ্যেই থাকুন। বাইরে এলে গ্যাসের সংস্পর্শে এসে শরীর খারাপ হতে পারে। গ্যাস প্ল্যান্টটিকে ঘিরে পাঁচটি গ্রামে অন্তত ৫হাজার মানুষের বাস। লকডাউনের পর থেকেই প্ল্যান্টটি বন্ধ ছিল কারখানাটি। সদ্য খোলার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তারমধ্যেই এই দুর্ঘটনা।
এদিকে মূখ্যমন্ত্রী রেড্ডি বন ও পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এবং বলেছেন ঘটনার জন্য দায়ী কাউকেই রেয়াৎ করা হবেনা। কঠিনতর শাস্তির জন্য উপযুক্ত আইনি উদ্যোগ নেবে সরকার।
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল ডি গৌতম সোয়াঙ্গ জানিয়েছেন, ‘ কিভাবে গ্যাস লিক হল আর তা রোধ করতে প্ল্যাট কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছিল,কোনো গাফিলতি ছিল কিনা এসব খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সাধারন ভাবে স্টেইরিন ঘাতক গ্যাস নয়, অধিক পরিমানে শরীরে প্রবেশ করায় কয়েকজন মারা গিয়েছে।’
এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও কেন্দীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে নির্দেশ দিয়েছেন অকুস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে নামতে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নেমেছেন। অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উদ্ধার কাজে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। ঘটনার জেরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সারা রাজ্যেই।