Homeএখন খবরবাড়িতে বসেই ক্লাশ চালু করে দিল রাজ্য, নবম থেকে দ্বাদশ স্কুল খুললেই...

বাড়িতে বসেই ক্লাশ চালু করে দিল রাজ্য, নবম থেকে দ্বাদশ স্কুল খুললেই দেখাতে হবে টাস্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে থাকবেনা। ১২ মাসের শিক্ষাবর্ষে তাই বড়সড় ক্ষতির মুখে যাতে পড়ুয়াদের না পড়তে হয় তাই ভার্চুয়াল ক্লাশ চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য প্রতিদিন দূরদর্শনে, ডিডি বাংলা চ্যানেলে ক্লাস নেবেন শিক্ষকেরা। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেনীর সব ছাত্রছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে ঠিকই। তবে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়াদের বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ দেবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আর স্কুল খুললেই সেই টাস্ক পড়ুয়ারা করেছে কিনা দেখাতে হবে শ্রেণী শিক্ষকদের।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে ৫টা দূরদর্শনে, ডিডি বাংলা চ্যানেলে এই ‘শ্রেনী কক্ষ শিক্ষা’ চলবে। ‘ভার্চুয়াল ক্লাশরুম’-এ যে-ভাবে পঠনপাঠন চলে, সেই ভাবেই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকারা এক-একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়ের উপরে আলোচনা করবেন। ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠানের আগে বা অনুষ্ঠান চলাকালীন ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপে অথবা ফোনে প্রশ্ন করতে পারবে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ বা বাড়ির কাজও দেবেন শিক্ষকেরা। অ্যাক্টিভিটি টাস্ক করে রাখতে হবে। স্কুল খুললে তা দেখাতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদেরও ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ দেওয়া হবে। ৬ এপ্রিল থেকে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে (https://banglarshiksha.gov.in) বা এডুকেশন হেল্পলাইনে (১৮০০১০২৮০১৪) ফোন করে সব শ্রেণির জন্য মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়া যাবে। শিক্ষকেরা প্রয়োজনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবর্তন করে এসএমএস, ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। কোনও অবস্থাতেই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে না।’’

মন্ত্রী জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন এসএমএস, ফোন, ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি সম্পন্ন করতে তাদের সাহায্য করেন।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই অন লাইন পাঠক্রম চালু করে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। এটিকে যদিও সেই অর্থে অনলাইন পাঠক্রম বলা যায়না তবুও এই ‘ভার্চুয়াল ক্লাশ রুম’ পড়ুয়াদের ব্যপক উপকার করবে। কারা কারা ভার্চুয়ালি ক্লাশ নেবেন সেই তালিকাও ঠিক করে ফেলেছে শিক্ষা দপ্তর। অনেক পড়ুয়াই হয়ত প্রথম প্রথম বিষয়টি বুঝতে নাও পারে । অভিভাবকদের এ বিষয়ে নিজের ছেলে মেয়েদের তৈরি করতে হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular