ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের জেরে চলতি বছর ১৮ ই মার্চ থেকে বন্ধ থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সায়েন্স সিটি সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। কিন্তু ইতিমধ্যেই বাংলায় পড়তে শুরু করেছে শীতের আমেজ। ফলে করোনা ভাইরাসের ভয়কে দুরে সরিয়ে শীত পড়তেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালী। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব, বিধিনিষেধ মেনে খুলে গিয়েছে রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, শপিং মল। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি নিয়মবিধি মেনে পুজোর আগেই চালু হয়ে গিয়েছে চিড়িয়াখানা, ইকোপার্ক। এবার দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সায়েন্স সিটি, ভারতীয় জাদুঘর ও বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড সায়েন্স মিউজিয়াম সহ কলকাতার চারটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থল।
তবে করোনা আবহে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ভারতীয় জাদুঘর, সায়েন্স সিটি সহ এই চারটি দর্শনীয় স্থল খুলে গেলেও সেক্ষেত্রে কর্মী থেকে দর্শক সকলকেই বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে চলতে হবে করোনা সতর্কতাবিধি। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক দর্শনার্থীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার সাথে রাখা বাধ্যতামূলক। একইসাথে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। পাশাপাশি প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্রিনিং এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। প্রত্যেক কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীকে পিপিই পরে কাজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রবেশের আগে সকল দর্শনার্থীদের স্মার্ট ফোনে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এতদিন প্রতি গ্যালারিতে ৪০-৫০ জনকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হত। কিন্তু করোনা আবহে সংক্রমণ এড়াতে ও দূরত্ববিধি মেনে চলতে বর্তমানে প্রতি গ্যালারিতে একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জন দর্শককে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি করোনা আবহে যাতে কোনোভাবেই এসি থেকে সংক্রমণ না ছড়ায় সে কথা মাথায় রেখে গ্যালারির এসি–র তাপমাত্রা রাখা হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা হবে। পাশাপশি কাউন্টারে ভিড় কমিয়ে যতটা সম্ভব দর্শনার্থীরা যাতে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তবে যে সকল দর্শকরা কাউন্টার থেকেই টিকিট কাটবেন তাদের দেওয়া নোট ও কয়েন জীবাণুমুক্ত করতে থাকবে আলট্রাভায়োলেট স্টেরিলাইজেশন বক্স। সব মিলিয়ে শীতের আমেজ পড়তেই করোনা পরিস্থিতিকে দূরে সরিয়ে পুনরায় চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে তিলত্তমা