নিউজ ডেস্ক: লকডাউন শেষ অস্ত্র। নিজেদেরই সাবধান হতে হবে। দেশের যুবসমাজ উদ্যোগী হলে, লকডাউনের পরিস্থিতি হবে না। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে সাফ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ জুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অনেক রাজ্যই কার্ফুর পথ বেছে নিয়েছে। অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিচ্ছে, হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে শয্যার অভাব, ভেঙে পড়ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় সকলেই ভাবছিলেন করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে আবার কী লকডাউন হবে! তবে সেই চিন্তা দূর করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন লকডাউন নয়, তবে বেশ কিছু সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছেন, যাতে করে লকডাউন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।
এদিন দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈয্য ধরে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা জয়ী হব। কঠিন থেকে কঠিনতম সময়েও ধৈর্য্য হারালে চলবে না। কেন্দ্র, রাজ্য, বেসরকারি সংস্থা-সবাই একসঙ্গে কাজ করছে, এবার করোনার সংক্রমণে দেশের অনেক জায়গায় অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ চলছে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকলকে আশার বাণী শুনিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারত, প্রবীণরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, এটা লড়াইয়ে বড় শক্তি, ১৮ বছর পেরোলেই ভ্যাকসিন পাবেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ভয় পাবেন না। যেখানেই আছেন সেখানেই থাকুন। সেখানেই ভ্যাকসিন পাবেন। কেন্দ্র-রাজ্যের উদ্যোগে সকল শ্রমিকরাও ভ্যাকসিন পাবেন বলেই জানান তিনি।
সবাই মিলে করোনাকে পরাস্থ করার আহ্বান জানান মোদী। তিনি বলেন,
খুব প্রয়োজন না হলে, কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না, এই মুহূর্তে দেশকে লকডাউনের থেকে বাঁচাতে হবে। নিজের পাড়ায় ছোট ছোট কমিউনিটি তৈরী করে করোনা সতর্কতার প্রচার করার অনুরোধ করেন যুব সমাজকে। তিনি এও বলেন, লকডাউন এড়াতে সবরকম ব্যবস্থ নেওয়া হবে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন সর্বশেষ অস্ত্র। লকডাউন থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই। শেষ সিদ্ধান্ত হিসাবে লকডাউনকে যেন বেছে নেয় রাজ্যগুলো, বলেই এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী।