অশ্লেষা চৌধুরী: পর্বতবেষ্টিত উওরাখণ্ড রাজ্যে বনের ভিতর দিয়ে যাওয়া ব্যস্ত মহাসড়ক পারাপার করতে তাদের জন্য একটি সেতু তৈরি করেছে বন কর্তৃপক্ষ। সেতুটির নাম রাখা হয়েছে ‘ইকো সেতু’, যার দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট । বাঁশ, পাট ও ঘাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই সেতু। মহাসড়কে পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই জীবন হারাতে হয় তাদের। নতুবা কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আঘাতের সম্মুখীন তো হতেই হয়। কিন্তু তারা কারা? তারে হল ছোট ছোট প্রাণী ও সরীসৃপ। এইসকল ছোট্ট ছোট্ট প্রাণী ও সরীসৃপদের জীবন রক্ষার কথা চিন্তা করে অভিনব উদ্যোগ নিল বন দপ্তর।
উত্তরাখণ্ডের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র নৈনিতালের পথে এই সড়কটিতে দ্রুত চলাচল করা গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায় অনেক প্রাণী।
একজন বন আধিকারিক বলেছেন, এটি একটি গভীর বন। হাতি, চিতা বাঘ, হরিণ, বন্য গরুর মতো প্রাণীও এই এলাকা দিয়ে চলাচল করে। দূর থেকেই চালকরা তাদের দেখতে পায়। চাইলে তারা গাড়ির গতি কমাতে বা গাড়ি থামিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু সাপ, গিরগিটি, গুইসাপ বা কাঠবিড়ালির জন্য তারা এটা খুব কমই করেন।
বন আধিকারিক শেখর জোশী জানিয়েছেন, ‘এই মহাসড়কে পর্যটকদের গাড়ির নিচে পড়ে বহু সরীসৃপ ও অন্যান্য প্রাণী মারা যায়। এ কারণে প্রাণীদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তারা সেতুটির উভয় পাশে ক্যামেরাও বসিয়েছেন।
বন আধিকারিকেরা আশা প্রকাশ করছেন, আশপাশের ছোট প্রাণী ও সরীসৃপদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এই সেতুটি ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে তাদের রক্ষা করতেও সহায়তা করবে সেতুটি।
অবশ্য এখন পর্যটনদের নতুন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই সেতুটি। এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বহু পর্যটক গাড়ি থামিয়ে সেতুটির ছবি নিচ্ছেন ও সেলফি তুলছেন। সেতুটি দ্রুতই প্রাণীদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলেই আশা করছেন বন আধিকারিকেরা।