নিজস্ব সংবাদদাতা: আমফানে লন্ডভন্ড হয়েছে সব কিছুই। বহু জায়গায় রেশন দোকানে মজুত খাদ্য শষ্য নষ্ট হয়ে গেছে। জলে ভিজে জবজবে বস্তা। সে সব জায়গায় ফের নতুন করে দ্রব্য সামগ্রী পাঠানোর জন্য চলছে হিসাব নিকেশ। পাশাপাশি আমফানে উপকূলবর্তী জেলাগুলি সহ বহু জায়গাতে রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত। মাল পৌঁছনোর সমস্যা। এসব মাথায় রেখেই দোকান খোলা রাখার সময় কিছুটা পরিবর্তন করল খাদ্য দফতর। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মে মাসে ২৬ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে বেলা ২টো থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা থাকবে। এতদিন রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল।
জুনের প্রথম সাতদিন ফের দ্বিতীয়ার্ধে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। এরপর জুনের ১৪ তারিখ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ও পরবর্তীকালে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। খাদ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, ১৫ ও ২৯ জুন, দুই সোমবার দোকান বন্ধ থাকবে। বাকি দু’টি সোমবার শুধু প্রথমার্ধে খোলা রাখা হবে বলে। ২৫ মে ঈদ উপলক্ষে রেশন দোকান বন্ধ থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বহু রেশন দোকানে মজুত খাদ্যসামগ্রী ও ই-পস যন্ত্রের ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হওয়া খাদ্যসামগ্রী বদলে নতুন করে দেওয়া এবং খারাপ হয়ে যাওয়া ই-পস যন্ত্র পাল্টে দিতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনার শহর এলাকাতেই প্রায় তিনশো দোকানের ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।দোকানে বৃষ্টির জল ঢুকে বস্তার চাল, চিনি, ময়দা, ছোলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকি কিছু রেশন দোকান থেকে রবিবারও বৃষ্টির জল বার করা সম্ভব হয়নি।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে চলছে লকডাউন। রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে ৬মাস বিনামূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে সিংহভাগ রাজ্যবাসীর জন্য। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারও রেশন দিচ্ছে এই একই রেশন দোকান থেকেই। এই বিপুল অংশে গনবন্টন ব্যবস্থা বজায় রাখতে চাই গণপরিবহন ও সুসমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা যা আমফানে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন করে সেই ব্যবস্থা সাজিয়ে নিতেই এই রদবদল বলে জানা গেছে।