নিজস্ব সংবাদদাতা: ১০২ জনের তালিকাতে মাত্র ১১ জনের বাড়ি ভেঙেছে সত্যি সত্যিই বাকি পুরোটাই জল। সেই জলের মধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের বউ, ছোট বড় তৃণমূলের নেতা, কর্মী। যার মধ্যে ১৭ জনের আ্যকাউন্টে টাকা ঢুকেও গেছে! কেঁচো খুঁড়তে এমনই সব কেউটে বের করে ফেললেন বিডিও আর বুঝলেন গ্রামে গ্রামে বুথে বুথে কাদের রাজ চলছে আর কাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ। তৃনমূলকে ফের ২০২১শে ক্ষমতায় ফেরানোর জন্য ৫০০কোটির বরাদ্দ নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। সেই প্রশান্ত কিশোর নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, আমফানের ক্ষতিপূরনের টাকা যেভাবে লুট হচ্ছে তাতে এদলের ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব হয়ে যাবে। সেরকমই দৃশ্য দেখা মিলল হুগলি জেলার গরলগাছা গ্রামপঞ্চয়েতে।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু মানুষ দাবি করতে থাকেন বাড়িঘর অটুট থাকা স্বত্ত্বেও আমফানের ক্ষতিপূরণের ২০হাজার টাকা পেয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহর স্ত্রী। তথ্যপ্রমান হাতে নিয়েই শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। হুগলির চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি দুর্নীতির অভিযোগে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টের নথিও ফাঁস করে দেন। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে শাসকদলের অন্দরেই। দুদিকের চাপের মুখে টাকা ফের সরকারের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে জানান নগেন্দ্রনাথ।
পঞ্চায়েত প্রধান যুক্তি সাজান দাবি ছিল, তাঁর স্ত্রীর ধূপকাঠি তৈরির কারখানা ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সরকারি নিয়মে যে শুধু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেই টাকা মিলবে এমনটা জানা ছিলনা তাঁর। কিন্তু তাতে মানুষের , এমনকি তৃণমূলের একাংশ মানেনি। তাছাড়া স্থানীয়রা আরও জানান শুধুই প্রধানের স্ত্রী নয় টাকা পেয়েছেন তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মী যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি অক্ষত। মোবাইলে তোলা সেই নেতাদের বাড়ির ছবি, সঙ্গে ক্ষতিপুরনের তালিকা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই গোটা তালিকা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা। তাতে দেখা যায়, ১০২ জনের তালিকায় ৯১ জনের নামই ভুয়ো। তাদের বাড়ির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
অবশ্য শুধুই হুগলি নয়, সারা রাজ্যেই এই অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভ এমনকি ভাঙচুর হয়েছে বেশকিছু জায়গায়। এবার জলজ্যান্ত প্রমান উঠে এল। সাধারন মানুষের দাবি শাসকদলের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ অনুমোদন করছেনা বিডিও। কোনও বিডিওই নিজেরা সত্যতা যাচাই করছেননা, করলে এরকমই টাকা লুটের প্রমান ৯০% গ্রামপঞ্চায়েত গুলি থেকে বেরিয়ে আসবে।