নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় আমফানের কবলে ঝাড়গ্রাম জেলার দুই গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রামের কৃষকের ফসল, সবজি থেকে শুরু করে গাছ পালা এবং ঘরবাড়ির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েই ছিল তার সঙ্গে বিপদ বাড়িয়েছে এই তিন ব্লক এলাকার একাংশের ব্যবহৃত মহাপালের কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায়। ঝাড়গ্ৰাম জেলার অন্য অংশে আমফান তেমন তান্ডব লীলা চালাতে পারেনি। যা কিনা চালিয়েছে গোপীবল্লভপুর ১, ২ নম্বর ব্লক এবং নয়াগ্ৰাম ব্লকে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর কয়েকদিন হল কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংগে নদীতে বইতে শুরু করেছিল প্রবল স্রোত। সেই জলস্তর বৃদ্ধি আর স্রোতের তোড়ে সুবর্ণরেখার উপর থাকা মহাপালের কাঠের সেতু জলে ভেসে যায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।
আর কাঠের সেতু ভেঙ্গে পড়ায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে গোপীবল্লভপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের বিস্তির্ণ এলাকার মানুষকে। কারণ মহাপালের এই কাঠের ব্রীজ পের হয়ে দুটি ব্লকের গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের আলমপুর,কেন্দুগাড়ি এবং গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের খাড়বান্ধি,কুলিয়ানা এবং বেলিয়াবেড়া অঞ্চলের সাধারণ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।মহাপালের কাঠের ব্রীজ পার হলে যেমন গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের মানুষকে ছাতিনাশোল কিংবা নয়াগ্ৰাম ব্লকে যেতে সুবিধা হয় তেমন গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের মানুষের বেলিয়াবেড়া, রোহিনী,রগড়া কিংবা ঝাড়গ্ৰাম জেলা শহরে যাতায়াত করতে সুবিধা হয়।
কিন্তু ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় সবাইকে কুঠিঘাট ব্রীজ পার হয়ে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। সুবর্ণরেখা নদীর উপর থাকা এই কাঠের ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক মানুষ পারাপার করতেন, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে সবাই এখন খুব অসুবিধায় পড়ছেন।