ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক মন্ত্রী- বিধায়ক। অনেকেই এই মূহুর্তে সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছে। অনেকে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠলেও করোনার থাবায় প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ ও সমরেশ দাসের পর এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন শাসকদলের আরও এক বিধায়ক। দিন কয়েক আগেই করোনায় হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণ হারালেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিধায়ক, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সঙ্গী গুরুপদ মেটে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। দীর্ঘ ৯ বছর বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিধায়ক ছিলেন গুরুপদ মেটে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাঁর শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এরপর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই আর দেরি না করে গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর অসুস্থ বিধায়ককে প্রথমে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গুরুপদবাবুর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে হাওড়ার ফুলেশ্বরের সঞ্জীবনী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বিধায়কের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। শেষমেশ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় ৬টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার ইন্দাসের দু’বারের বিধায়ক গুরুপদ মেটের।
এদিকে শাসকদলের পুরনো সৈনিকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শোকপ্রকাশ করে এক শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক গুরুপদ মেটের প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ হাওড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি ২০১১ থেকে ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি গুরুপদ মেটের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।” এই মুহূর্তে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন গুরুপদবাবু। এই দক্ষ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।