ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই পরবর্তী নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি গড়ে তুলতে মরিয়া শাসক-বিরোধী সকলেই। রাজ্য বিজেপির তরফে জনসংযোগ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ২০২১ এর প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার মাঠে নামল তৃণমূল। ২০১৯ এর জুলাই মাসের শেষে রাজ্যবাসীর সুবিধা অসুবিধা সরাসরি ‘দিদি’কে জানানোর জন্য ‘দিদিকে বলো’ নামক একটি অভিনব প্রচার শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে সাফল্যও এসেছিল যথেষ্ট। এবার সেই সাফল্যকে মাথায় রেখেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সাংসদ তথা যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘যুব যোদ্ধা’ নামক অভিযান শুরু করতে চলেছে।
এই অভিযানের মূল লক্ষ্য, বাংলায় ১ লক্ষ যুবযোদ্ধা তৈরি করা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১১ জুনের মধ্যে তার রেজিস্ট্রেশানও হয়ে গিয়েছে। আপাতত এই ‘যুব যোদ্ধা’দের রাজ্য, জেলা ও স্থানীয় এই তিনটি স্তরে ভাগ করে কাজ শুরু করা হবে। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রেশান হয়ে গেলেই সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জুড়ে নেওয়া হবে।
কিন্তু এই ‘যুব যোদ্ধা’ দের মূলত কী কাজে লাগাবে শাসকদল? এক কথায় বলতে গেলে, এই মূহুর্তে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির তরফে রাজ্যজুড়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা রোধ করাই ‘যুব যোদ্ধা’র মূল কাজ।
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ জনসভা। ফের কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও জানা নেই কারোই এই পরিস্থিতিতে সময়ের অপেক্ষা না করে বিকল্প রাস্তা খুঁজে ইতিমধ্যেই ভার্চুয়াল জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। দেরিতে হলেও এবার তৃণমূলও সেই পথেই যে হাঁটতে চালেছে তা সন্দেহ নেই। ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমেই ‘যুব যোদ্ধা’দের ব্লক স্তরে মানুষের সুবিধে অসুবিধে বুঝে কাজ করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা, পার্টিকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করাই হবে এই যুবযোদ্ধাদের কাজ। সর্বপরি ২০২১ এর লক্ষ্যে এই নতুন যোদ্ধাদের ভার্চুয়ালিই মনবল বাড়িয়ে তাদের কাজে লাগাতে চায় শাসক দল।
এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, “তৃণমূল এখন বহিরাগত প্রশান্ত কিশোরের অঙ্গুলিহেলনে চলছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই কমছে। মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই নতুন প্রচারকৌশল মুখ থুবড়ে পড়বে।”
প্রসঙ্গত, শাসকদলের তরফে ‘দিদিকে বলো’ প্রচার অভিযান সাফল্য পেয়েছে বলা হলেও। আসল ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বেহাল অবস্থা গ্রাম থেকে শহর সব ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধায় ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে জানানো হলেও আদতেও সাধারণ মানুষের কোনো লাভই হয়নি। এখন দেখার বিষয় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের রি ‘যুব যোদ্ধা’ আদতেও বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে কিনা।