ওয়েব ডেস্ক : আমফানের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গত দু’দিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই ১লক্ষ আড়াই হাজার কোটি টাকা দাবি করেছেন রাজ্য সরকার। এরপরই মাঠে নেমেছেন বিজেপি। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেন, আমফান বাবদ যে পরিমাণ টাকা দাবি করেছেন তা দিয়ে ২০২১ এর ভোটপ্রচারের কাজে লাগানোর মতলব করছেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “কাল মুখ্যমন্ত্রী আবার সব বিধায়কদের বলেছেন, তৈরি হয়ে যান। টাকা আসছে। ইলেকশন ফান্ড তৈরি করতে হবে। লোকে সব বোঝে।”
শনিবার রাজ্যে আগত কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তার দাবি সেখানে গিয়েও তিনি একই অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে দিলীপ বাবু জানিয়েছেন, এর আগে যতবারই রাজ্যে কেন্দ্রের অর্থ এসেছে ততবারই তা কোনো না কোনোভাবে লুঠ করেছে শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সামনেই ২০২১ এর নির্বাচন সুতরাং এবারও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বরাদ্দ এলেই তৃণমূল নেতারা লুঠতরাজ শুরু করে দেন। আর নির্বাচনের মুখে তো দুর্নীতি অবধারিত। তাই আমফানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বরাদ্দ অর্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরাই পায় সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন।
তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যে একেবারেই মিথ্যা তা কিন্তু নয়৷ বারংবার নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রমাণ মিলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্যের তরফে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্থরা তো পায়ই নি বরং যারা পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি এবং বাড়িতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন নেই। এমন্টাই দাবি বিরোধীদের।