নিউজ ডেস্ক:বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে উত্তপ্ত রাজ্য।মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে ছয় বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় পুলিশের কাছে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামে খুন হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় নিজে মঙ্গলকোটে যান।ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।
এদিকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলকোট থানায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সঞ্জিত ঘোষের পরিবার। এদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষও।
পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জিত ঘোষকে বলে অভিযোগ।
বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্দের কারনেই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মৃত সঞ্জিত ঘোষ মঙ্গলকোটের নিগন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছেই রাস্তায় তাকে ঘিরে ধরে মোটর সাইকেল থেকে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সঞ্জিতের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ইব্রাহিম শেখ। একইসঙ্গে তাঁকেও ব্যাপক মারধর করা হয়।
দু’জনকেই রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সঞ্জিত ঘোষকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয়। রাতে সেখানে মৃত্যু হয় তার।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
অন্যদিকে খুনের ঘটনায় দলের কর্মী-সমর্থকদের যুক্ত থাকার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।