ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান শেষে দলের এতদিনের সহযোদ্ধা নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় যুব মোর্চা সভাপতি তেজস্বী সূর্য। এদিন নিহত বিজেপি নেতার মা উর্মিলা শুক্লা ও বাবা চন্দ্র মণি শুক্লার সঙ্গে দেখা করে তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। এদিন মণীশ শুক্ল-র পরিবারের সাথে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার মণীশ শুক্ল-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, “নিজেরা আমাদের কর্মীকে হত্যা করল,আবার নিজেরাই শান্তি মিছিল করছে।” এদিকে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল-র খুনের প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির তরফে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় থেকে টিটাগড় থানা পর্যন্ত মোমবাতি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংসদ অর্জুন সিং এদিন জানান, “মণীশের আত্মার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই মোমবাতি মিছিলে হাঁটবেন হাজার মানুষ।” এদিকে মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় শাসকদলের তরফে আগামী ১৩ই অক্টোবর ব্যারাকপুর-টিটাগড় পর্যন্ত শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেবিষয়ে এদিন ব্যারাকপুর সাংসদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কটাক্ষ করে বলেন, “শান্তি মিছিল করছে আমাদের কর্মীকে খুন করে। সিবিআই তদন্ত হলে সব নাটকবাজি ধরা পড়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যখন গেরুয়া শিবিরের নবান্ন ঘেরাওকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কলকাতা -হাওড়া, সেসময় উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড় পুরসভায় জরুরি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, টিটাগড় পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরী সহ এই একাধিক নেতৃবৃন্দ। এদিন বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “১৩ অক্টোবর ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড় এলাকায় এক লক্ষ লোকের শান্তিমিছিল হবে। এলাকায় আর অশান্তি চলবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” তবে যেহেতু মণীশ শুক্ল খুনে প্রথম থেকেই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবির, সে অনুযায়ী দুই দলের শান্তিমিছিল ঘিরে ফের টিটাগড় অঞ্চলে উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দিচ্ছেনা রাজনৈতিক মহলের একাংশ।