নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার কর্মক্ষেত্র শুরুর দিনই ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হল যাত্রীদের । একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকায় সময়মত কাজের জায়গায় পৌঁছাতে নাজেহাল নিত্য যাত্রীরা। রবিবার থেকেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে শিয়ালদহ মেন শাখার নৈহাটি ও ইছাপুর স্টেশনের মাঝে। যার জেরে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন। কিন্তু ছুটির দিন হওয়ায় প্রথম দিনে খুব একটা ভোগান্তি না হলেও সোমবার সকাল থেকে জেরবার মেন শাখার যাত্রীরা। এদিন আপ ও ডাউন মিলিয়ে শিয়ালদহ মেন শাখার মোট ৪৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে প্রতি স্টেশনে উপচে পড়ছে ভিড়। হিমসিম খাচ্ছেন নিত্যযাত্রীর দল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রেল সূত্রে খবর সোমবার এখনও অবধি যে ৪৯টি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে সেগুলি হল, আপ ও ডাউনে মোট ২৬টি নৈহাটি লোকাল, ১৪টি কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, ৪টি শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল, ৩টি নৈহাটি-রানাঘাট লোকাল ও ২টি শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লোকাল-সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন। এছাড়া বেশ কিছু ট্রেন বারাকপুর পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। কলকাতা-সীতামারি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-বালিয়া এক্সপ্রেস, কলকাতা-পাটনা এক্সপ্রেস, গৌড় এক্সপ্রেস, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস, কলকাতা-জসিডি প্যাসেঞ্জারকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে রেল সূত্রে খবর। গ্যালপিং ট্রেনগুলিও এই ৮ দিন সব স্টেশনে দাঁড়াবে বলেই সূত্রের খবর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য আগেই ৯ তারিখ বেলা ১২ টা থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ পর্যন্ত শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন বাতিলের কথা জানানো হয়েছিল রেলের তরফে। শিয়ালদহ-সহ প্রতি স্টেশনে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে কোনওভাবে রাস্তায় বেড়িয়ে যাত্রীদের সমস্যায় না পড়তে হয়। তাই পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সমস্যার আশঙ্কা করেই অনেকেই বাতিল করেছেন কাজ। কেউ আবার বিকল্প পথে রওনা হয়েছেন গন্তব্যের দিকে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এখন একটু সমস্যা হলেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে রেলের গতি বাড়ায় আদতে যাত্রীরাই সুফল পাবেন।