তিন্নি দে ; শিলিগুড়ি:বড়দিনে চওড়া হাসি থাকবে পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মুখে।ক্রিসমাস থেকে বর্ষবরণ,এই সময়টিতে পর্যটকেরা ভীড় জমান দার্জিলিং-এ।তবে জয়রাইডের আনন্দ না নিতে পেরে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন পর্যটকেরা।এবার তাদের কথা ভেবে খুশির খবর শোনাল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।আগামীকাল অর্থাৎ বড়দিন থেকে শুরু হচ্ছে টয়ট্রেনের জয়রাইড।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পরিষেবা। অবশেষে দীর্ঘ ন’মাস পর শুরু হতে চলেছে টয় ট্রেন। মেনে চলতে হবে করোনা-বিধি বলে এনএফ রেলওয়ে সূত্রে খবর।দীর্ঘ ন’মাসের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। আগামিকাল থেকে আবারও শুরু হতে চলেছে টয় ট্রেন।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধিকর্তা একে মিশ্র বলেন, টয়ট্রেন পরিষেবা আবারও শুরু করতে তৈরি ছিলেন তারা। পরিষেবা শুরুর জন্য রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমোদন দরকার ছিল।যা অবশেষে মিলেছে। প্রাথমিকভাবে ২৫ ডিসেম্বর দার্জিলিং এবং ঘুমের মধ্যে জয়রাইড শুরু হবে।যাত্রীদের করোনাভাইরাস বিধি মেনে চলতে হবে। যাত্রীদের পরতে হবে মাস্ক, পালন করতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধি, ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।এরপর ধীরে ধীরে টয়ট্রেনের অনান্য পরিষেবাগুলি শুরু করা হবে। উল্লেখ্য আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত তিন জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে। পরে বিবেচনা করে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত টয়ট্রেন চালানো হবে বলে এন এফ রেলওয়ে সূত্রে খবর।
দার্জিলিং থেকে ঘুম যাওয়া এবং আসায় ১৪ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমন করে টয় ট্রেন ।পাহাড়ের প্রতিটি দৃশ্যই সুন্দর। তবে দার্জিলিং থেকে ঘুম ষ্টেশনের মাঝে রয়েছে বাতাসিয়া লুপ। যা দেখতে এই জয় রাইডের আনন্দ নিতে চান পর্যটকেরা। এই খানে ১০মিনিট দাঁড়ায় ট্রেন । পর্যটকরা নেমে প্রাণ ভরে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন। বাতাসিয়া লুপে রয়েছে একটি টানেল।যার ভেতর দিয়ে ট্রেনটি যায় এবং এটি অন্যতম আকর্ষণ। স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ গোর্খা সৈনিকদের স্মৃতিশৌধ রয়েছে বাতাসিয়া লুপে।
স্পাইরাল রেলওয়ে বলেও পরিচিতি রয়েছে বাতাসিয়া লুপের। ছোট বড় চা বাগান, ঘরবাড়ি, অসংখ্য পাহাড়ি ঝোর বা ফলস ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ঘন্টা ২ ধরে এই মহার্ঘ্য জয় রাইডের জন্য খরচ পড়বে ১,০০০, ১,৫০০ এবং ১,৬০০ টাকা।পাহাড়ের রানী দার্জিলিং-এ ঘুরতে এসে এবার পকেটে টান পড়লেও,জয় রাইড মিস করতে চাইবেন না কোনো পর্যটকই।