নামিয়ে আনা হচ্ছে পর্যটকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্যাপক তুষার পাতে অবরুদ্ধ পুর্ব সিকিম। নাথুলা, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির , জিরো পয়েন্ট যাওয়া আসার রাস্তা পুরোপুরি বরফে ঢেকে যাওয়ায় বিপদের মুখে পড়েছিলেন পর্যটকরা। সেনা বাহিনী সূত্রে জানানো হয়ছে শুক্রবার নাথুলা থেকে ১৩ মাইল দূরত্বে ভারী তুষারপাতের কারণে প্রায় ১৫০০ থেকে ১৭০০জন পর্যটক আটকে পড়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যাত্রার সময় পর্যটক বোঝাই ২৫০ থেকে ৩০০ টি ট্যাক্সি ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাথুলা পাস লেক থেকে ফিরছিলেন পর্যটকেরা এবং মাঝ পথে বিভিন্ন পথে তারা আটকে গিয়েছিলেন। জওহরলাল নেহেরু রাস্তা বরাবর পয়েন্টগুলিতে তুষার দ্বারা রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
রাতে সেনা জওয়ানরা নিজেদের ব্যারাক ছেড়ে দিলেন , পর্যটকদের দেওয়া হল স্লিপিং ব্যাগ |
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে তুষারপাতের পরিমান এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সমস্ত গাড়ি আটকে যায়। পর্যটকদের আটকে থাকার খবর পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ সেনাবাহিনী অপারেশন শুরু করে।
ভয়ংকর প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তার বরফ সরিয়ে পর্যটকদের ১৩হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ৯ হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে আনা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রায় ১৭০০ পর্যটককে অন্তর্ভুক্ত মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয় এবং প্রায় ৫৭০ জনকে ১৭ মাইলের ইন্দো-তিব্বত সীমান্তের সেনাবাহিনী ক্যাম্পে স্থান দেওয়া হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, খাবার, আশ্রয়, গরম পোশাক এবং ওষুধ দেওয়া হয়।
এখানে আপনিও বিজ্ঞাপন দিতে পারেন |
শনিবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী রাস্তার ওপর জমাট তুষার পরিষ্কার এবং সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে জেসিবি এবং ডজার ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপত্র। তিনি আরও বলেছেন আটকে পরা সকল পর্যটকদের নিরাপদে রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকে সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানা গিয়েছে।