ওয়েব ডেস্ক : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সাথে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের বিরুদ্ধে। কিন্তু আচমকা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক। এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্র। সমস্ত বিষয়টি যাদবপুর থানায় জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রী বীরভূমের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে কলকাতায় এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। পড়াশোনার কারণে বর্তমানে কলকাতাতেই থাকেন তিনি। ওই তরুণী জানান, ২০১৮ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর পরই ওই অধ্যাপকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ধীরে ধীরে কথাবার্তা হওয়ার পর একসময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর ওই প্রফেসর ছাত্রীকে দু-একবার বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু যেহেতু সেসময় কলেজ শেষ হয়নি, সেকারণে তরুণী জানান, কলেজ শেষের পর বিষয়টি পরিবারকে জানাবেন তিনি। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠতা বাড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস করেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
অভিযোগ, ২০২০-র প্রথমদিক থেকে আচমকা ওই ব্যক্তির আচরণের পরিবর্ত ঘটতে থাকে। এরপর মার্চ থেকে তরুণীর সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই অধ্যাপক। অনেকবার চেষ্টা করলেও অধ্যাপক তরুণীর সাথে যোগাযোগ রাখতে রাজি হননি। সেই কারণে অবশেষে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার যাদবপুর থানায় পুরো ঘটনাটি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। এরপর গভীর রাতে ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই সহকারী অধ্যাপককে। এরপর পুলিশের তরফে অভিযুক্তকে জেরা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে এমনি এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বেশী নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ছাত্রীর সাথে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এমনকি কোনো ছাত্রী তাঁর প্রস্তাবে রাজী না হলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ভয় দেখাতেন ওই অধ্যাপক তথা বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কবি। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীদের সাথে তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এরপর অবশেষে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন একদল ছাত্রী। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।