নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই তরতরিয়ে বেড়ে ছিল গহনার দাম। লকডাউনের ধকল কাটিয়ে সেই ধারাবাহিক দাম বৃদ্ধির পর এখন ফের নামছে দাম। শীতের পারদের মতই সোনা রূপার দামের চমক কিছুটা হলেও ম্লান হচ্ছে। দেশের বাজারে এই নিয়ে পরপর তিন দিন কমল সোনা-রূপার দাম। ইক্যুইটি বাজারে ঝুঁকির কারণেই দামে এই পতন। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ডিসেম্বর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৪৮৫ টাকা। এক কিলোগ্রাম রূপার দাম কমে হয়েছে ৫৯,৪৬০ টাকা।
গত দু’দিনে দেশে একধাক্কায় অনেকটা কমেছিল সোনা ও রূপার দাম। গত সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম কমেছিল ৯০০ টাকা। সব মিলিয়ে দু’দিনে সোনা নেমেছিল ১,৬৫০ টাকা। অন্যদিকে, ওই সময় এক কেজি রূপার দাম কমেছে ২,৪০০ টাকা।
তবে, বিশ্ব বাজারে সোনার দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। দুর্বল ডলারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সম্পত্তিতে বাড়তি লগ্নির আকাঙ্ক্ষার ফলে বুলিয়ন প্রায় চার মাসে সর্বনিম্ন হয়ে গিয়েছিল। আগের দিন এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ১,৮০০.০১ ডলার হওয়ার পর তা ০.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৮০৯.৪১ ডলার, যা গত ১৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। রুপো বেড়েছে ০.২ শতাংশ। অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ডলার সূচকের ০.১৪ শতাংশ কমেছে।
জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস টিকা সংক্রান্ত পজিটিভ খবর এবং মার্কিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমে যাওয়ার ফলে বিনিয়োগকারী ঝুঁকিপূর্ণ সম্পত্তিতে লগ্নির পথে হাঁটছেন। তার ফলে দাম পড়েছে সোনার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ডিসেম্বর গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৯ শতাংশ বা ৪৫০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯,০৫১ টাকা। এক কিলোগ্রাম রূপার দাম ০.৯ শতাংশ বা ৫৫০ টাকা কমে ৬০,০০০ টাকার নীচে নেমে গিয়েছে। তার ফলে এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৯,৯৮০ টাকা।
গত সেশনেও একধাক্কায় অনেকটা পতনের সাক্ষী ছিল সোনা ও রুপো। সেই সময় ১০ গ্রাম সোনার দর ৭৫০ টাকা বা ১.৫ শতাংশ কমেছিল। আর এক কিলোগ্রাম রূপার দাম ১,৬২৮ টাকা বা ২.৬ শতাংশ পড়েছিল। এখন ফলে আপনিও যদি লগ্নি হিসাবে গহনা কে ভেবে থাকেন তাহলে এই বেলা কিছুটা সোনা বা রূপা কিনে রাখতে পারেন। আর যাইহোক ঠকে যাওয়ার ভয় তো নেই।