নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর :- বেশ কয়েকদিন ধরেই মনের ভিতরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন, তাকে চোখের দেখা একবার দেখেতেই হবে সামনে থেকে। সেই মতো এদিন একটু আগেভাগেই গ্রামের প্রায় ২৫ -৩০ জন কর্মী সমর্থক কে নিয়ে পিক আপ ভ্যানে করে বেরিয়ে পড়েছিলেন সভাস্থলের উদ্দ্যেশ্যে। সভাস্থলে পৌঁছে সটান চলে গিয়েছিলেন মঞ্চের সামনেই। কিন্তু এটাই যে তার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা শেষ ভাষণ হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ।
মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভা সেরে বাড়ী ফেরার পথে নিজেদের ভাড়া করা পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে মাল বাহী একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল সেই তৃনমূল কর্মীর।ঘটনায় আহত হয়েছে ওই গাড়িতে থাকা প্রায় সকলেই৷ আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আমড়াকুচিতে৷ মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আফতাব উদ্দিন মল্লিক (৩৫)। বাড়ি কেশপুরের সরিষখোলার পানিহাটিতে৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে যোগদান করার জন্য কেশপুরের পানিহাটি গ্রাম থেকে একটি পিক আপ ভ্যানে করে প্রায় ৩৫ -৪০ জন তৃণমূল সমর্থক আসেন৷ সভা শেষ করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে আমড়াকুচিতে ওই পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালবাহী লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতেই পিক আপ ভ্যান টি রাস্তায় উল্টে যায়। আহত হয় প্রায় সকলেই। আহতদের চিৎকারে স্থানীয়া ছুটে এসে উদ্ধার কার্যে হাত লাগায়৷
খবর যায় কেশপুর থানায়৷ পুলিশ ও স্থানীয়রা একযোগে আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আফতাব কে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে আহতদের দেখতে ছুটে যান কেশপুরের বিধায়িকা শিউলি সাহা। হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাদের কলকাতা স্থানান্তরিত করা হবে।
কেশপুরের বিধায়িকা শিউলি সাহা বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের কর্মী মৃত শেখ আফতাব উদ্দিনের পাশে দল আছে। সব রকম সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে। উনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই । এদিকে এই দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শ্মশানের নীরবতা।