Homeএখন খবরতেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের পথেই এ রাজ্যেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন ছাঁটার...

তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের পথেই এ রাজ্যেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন ছাঁটার পরামর্শ তৃনমূল শিক্ষা সেলের

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথমে শুরু করেছিল তেলেঙ্গানা পরে মহারাষ্ট্রও সেই পথে হাঁটে। করোনা মোকাবিলায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই সরকার। এরাজ্যে এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলেও তৃণমূলের শিক্ষা সেল রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি সংকট মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতনের একাংশ সরকারের জরুরি ত্রাণ তহবিলে গ্রহন করুন। শিক্ষাসেলের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় তাঁদের সদস্যরাও বেতনের একটি অংশ প্রদান করতে রাজি বলেও জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

কিভাবে সরকারি অন্যান্য কর্মীদেরকেও এই পরিকল্পনার আওতায় আনার যায় তাঁর একটা ফর্মুলাও দেওয়া হয়েছে মূখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে। গত ৩ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে শিক্ষক,অধ্যাপক সহ অন্যান্য রাজ্যসরকারি সমস্ত কর্মীদের মাসিক বেতনের পরিমাণ সাপেক্ষে ন্যূনতম হারে একমাসের বেতনের আংশিক কেটে নেওয়া হোক।
তাঁদের দেওয়া ফর্মুলা অনুসারে বলা হয়েছে১) ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনভুক্ত বা সাম্মানিক প্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন কাটা যাবে না।
২) ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মাত্র ৫% বেতন কাটা হোক।
৩) ৫০,০০০ থেকে ৭৫,০০০টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মাত্র ১০% বেতন কাটা হোক।
৪) ৭৫,০০০ থেকে ১,০০,,০০০টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মাত্র ২০% বেতন কাটা হোক।

৫) এক লাখ টাকার  বেশি মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ৩০% বেতন কাটা হোক।
অন্যদিকে ১৫০০০ টাকা বা তার চেয়ে কম বেতনভুক্ত সরকারি চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদেরও এই পরিকল্পনার আওতার বাইরে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূল শিক্ষা সেলের পক্ষ থেকে। যেমন- প্যারা টিচার, স্পেশাল এডুকেটরস, আইসিটি কম্পিউটার টিচার, শিক্ষাবন্ধু (বিএলআরসি, ইউএলআরসি, সিএলআরসি, সিআরসি) যারা এসএসএ- র অধীনে আর্থিক সহযোগিতাপ্রাপ্ত ইত্যাদি।

এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক জয়দেব গিরি একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন , ‘‘যাঁরা মোটা বেতন পান, এই দুর্দিনে দাঁড়িয়ে তাঁরা যদি সরকারের পাশে এসে না দাঁড়ায়, তাহলে সরকার কীভাবে লড়াই করবে৷ সরকার তো জনগণের প্রতিষ্ঠান৷ যদি এই মুহূর্তে আমরা অমানবিক হয়, তাহলে গরিবরা কী করবেন? যারা রিক্সা টানছেন, তাঁদের সংসার কী করে চলবে? আজ সরকার চাল ডাল আলু দিচ্ছে৷ এই সমস্ত করতে গেলেও তো খরচ হচ্ছে৷ আমরা সাহায্য না করলে সরকার টাকা পাবে কোথা থেকে? আমরা যদি মানবিক না হয় তাহলে, আমার সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা কোথায়? আমি সবার কাছে আবেদন জানায়, যাঁদের উচ্চ বেতন, তারা এই সংকট সময়ে এগিয়ে আসুন৷ তাঁদের যতটুকু সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী রাজ্যের তহবিলে দান করুন৷’’

RELATED ARTICLES

Most Popular