Homeএখন খবরফের 'বাঘবন্দি' ঝাড়গ্রামের গ্রাম, সাত সকালেই চাষের জমিতে জন্তুর পায়ের ছাপে আতঙ্ক

ফের ‘বাঘবন্দি’ ঝাড়গ্রামের গ্রাম, সাত সকালেই চাষের জমিতে জন্তুর পায়ের ছাপে আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার লক্ষ্মনপুর গ্রামে সরষের ক্ষেতে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। রবিবার সকালে মাঠের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখার পর  বনদপ্তরে খবর পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপরই  ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পায়ের ছাপ সংগ্রহ করার পাশাপাশি এলাকা চিহ্নিত  করে রাখা হয়েছে।জঙ্গল সংলগ্ন কালিয়াম ,মোহনপুর, সাতবাঁকি,মালাবতি,মোহনপুর, কৃষ্ণনগর গ্রাম গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সন্ধ্যের পর কার্যত বাঘের ভয়ে বন্দি এলাকার গ্রাম গুলি ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রাথমিক ভাবে পায়ের ছাপ ও সামনের ও পেছনের পায়ের দুরত্বে বোঝা যাচ্ছে ক্যাট প্রজাতির  বড় জন্তু।সাথে শাবক ও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বাঘ ও ক্যাট প্রজাতির তবুও এটা বাঘই কিনা এসম্পর্কে নিশ্চিত নয় বনদপ্তর। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের আধিকারিক বাসবরাজ হিলায়ইচি জানিয়েছেন, ‘ ‘ আমরা নমুনা সংগ্রহের পর তা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছি। তাঁরা বিশ্লেষন করার পরই জন্তুর পরিচয় স্পষ্ট হবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিনপুরের এই আতঙ্কের সংগত কারনও রয়েছে। কংসাবতী নদী পের হলেই লালগড়। যেখানে ২০১৮ সালের মার্চে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছিল। জঙ্গলে বনদপ্তরের পাতা ট্রাপ ক্যামেরাতে ধরা পড়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। যদিও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাঘটিকে গ্রামবাসীদের একাংশ পিটিয়ে মেরেছিল। সেই ঘটনার জের এখনও চলছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাঘ রক্ষা করার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করায় বনদপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে সেই এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষন পরিকল্পনার আধিকারিকরা। ফলে নতুন করে এই পায়ের ছাপে চিন্তিত বন দপ্তরও। যদি সত্যি সত্যি বাঘ হয় তবে তাকে রক্ষা করতে কালঘাম ছুটবে বনদপ্তরের । তবে বেশ কিছু গবাদি পশু হত্যার পর মৃত্যু হয়েছিল সেই বাঘটির।

তবে সব ক্ষেত্রেই বাঘ মিলেছে এমনটাও নয়। ঝাড়গ্রামেরই  সাঁকারাইল, জামবনী ও ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে নেকড়ে প্রজাতির দাপটও রয়েছে। ইন্ডিয়ান উলফ বলে খ্যাত ওই সব দলবদ্ধ হিংস্র প্রজাতির আক্রমনে গৃহপালিত পশুর পাশাপাশি কয়েকজন মানু্ষেরও মৃত্যু হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
লক্ষনপুর গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারনা ওই ছাপ বাঘেরই পায়ের। ফলে বিকালের পর থেকেই থমথম করছে গ্রাম। একে শীত তার ওপর হিংস্র জন্তুর পায়ের ছাপে বাঘ আতঙ্কে বন্দি পুরো গ্রাম। 

RELATED ARTICLES

Most Popular