Homeএখন খবরঝাড়গ্রামে বাঘই , এলেন সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞ দল, উড়বে ড্রোন, পাতা...

ঝাড়গ্রামে বাঘই , এলেন সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞ দল, উড়বে ড্রোন, পাতা হল খাঁচা, রাখা হচ্ছে ক্যামেরা

পাতা হচ্ছে খাঁচা 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার লক্ষ্মনপুর গ্রামে সরষের ক্ষেতে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ যে বাঘই সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত বনদপ্তর আর তা আরও নির্দিষ্ট করে জানার জন্য এলাকায় পৌঁছে গেল সুন্দরবন থেকে ৪ বিশেষজ্ঞর একটি দল। সোমবার ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের কর্মী, স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটি ও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে যে যে এলাকায় পায়ের ছাপ দেখা গেছে সেই সব এলাকা ঘুরে দেখেছেন আর দেখার পরেই তাঁরা নিশ্চিত যে ওই পায়ের ছাপ বাঘেরই ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপরই ঠিক হয়েছে বাঘের অস্থিত্ব নিশ্চিত করার জন্যই আগামী কাল মঙ্গলবারই মালাবতীর জঙ্গলে নজরদারি করার জন্য ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞ দলের সূত্রে জানা গেছে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা সঙ্গে করে একটিই খাঁচা এনেছিলেন সেটাই সোমবার পাতা হয়েছে তবে মঙ্গলবার আরও খাঁচা আনা হয়েছে সেগুলি কোথায় কোথায় পাতা হবে তা আজ রেইকি করে দেখা হয়েছে।     পাশাপাশি মঙ্গলবার কোথায় কোথায় ক্যামেরা বসানো হবে অর্থাৎ বাঘের যাতায়তের সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্যারিসে সংগ্রহ করা হচ্ছে থাবার ছাপ 

রবিবার লক্ষণপুর গ্রামে পাওয়া পায়ের ছাপ যে বাঘেরই এটা এতটাই নিশ্চিত বনদপ্তর যে মঙ্গলবার এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মানুষজনকে কি কি করা উচিৎ ও করা উচিৎ নয় তা বলে এসেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জঙ্গল সংলগ্ন কালিয়াম ,মোহনপুর, সাতবাঁকি,মালাবতি,মোহনপুর, কৃষ্ণনগর গ্রাম গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সন্ধ্যের পর কার্যত বাঘের ভয়ে বন্দি এলাকার গ্রাম গুলি ।
বনদপ্তরের এক অধিকারিক জানিয়েছেন , পায়ের ছাপ ও সামনের ও পেছনের পায়ের দুরত্বে বোঝা যাচ্ছে ক্যাট প্রজাতির  জন্তু এটা নিশ্চিত আর তার সঙ্গে এটাও নিশ্চিত যে এতবড় পায়ের ছাপ এর আগে এ অঞ্চলে পাওয়া যায়নি আর সে কারনেই আমাদের মনে হচ্ছে যে এটা বাঘেরই পায়ের ছাপ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গতকাল বনদপ্তর বড় পায়ের ছাপের পাশাপাশি আরও একটি পায়ের ছাপ দেখে মনে করেছিল সঙ্গে  শাবকও থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার তার সঙ্গে আরও একটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন বন আধিকারিকরা। তাঁরা বলছেন, অনেক সময়ে বাঘের পিছু পিছু ফেউ জাতীয় ছোট মাংসাশী প্রানী থাকে বাঘের শিকার করা অবশিষ্টাংশের লোভে। এক্ষেত্রে তাও হতে পারে।  ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের আধিকারিক বাসবরাজ হেলায়ইচি জানিয়েছেন, ‘ ‘ বিশেষজ্ঞরা আরও গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। আমরা যেহেতু এখনও চাক্ষুষ কিছু দেখিনি তাই এখুনি কিছু বলছিনা তবে ঘটনা এটাই যে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে যে এটা বাঘ জাতীয় প্রানী হতে পারে।”


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৮ সালের মার্চে সংলগ্ন লালগড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব পাওয়ার পর এবার বনদপ্তর অতিরিক্ত সতর্ক। সেবার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাঘটিকে গ্রামবাসীদের একাংশ পিটিয়ে মেরেছিল। যার জের এখনও পোহাতে হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বন আধিকারিকদের। বাঘ রক্ষা করার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করায় বনদপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

এখানে বিজ্ঞাপন দিন 

সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে সেই এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষন পরিকল্পনার আধিকারিকরা। ফলে নতুন করে এই পায়ের ছাপে চিন্তিত বন দপ্তরও। যদি সত্যি সত্যি বাঘ হয় তবে তাকে রক্ষা করতে কালঘাম ছুটবে বনদপ্তরের । ফলে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বনদপ্তর। কনকনে ঠান্ডাতেও সতর্ক প্রহরায়াএলাকায় পড়ে থেকে রাত জাগছেন।  

RELATED ARTICLES

Most Popular