ওয়েব ডেস্ক : হাথরস কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে আসছেন বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী নেতা সাংসদরা। কিন্তু কাউকেই গ্রামের ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সাংবাদিকদেরও গ্রামের ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এর মাঝেই শুক্রবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের নারীদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই শুক্রবার রাতে হাথরসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর-সহ তিন পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ড করলো যোগী সরকার।
নির্যাতিতার মৃত্যুর পর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছে গোটা দেশ। কিন্তু তখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই নেননি যোগী সরকার। পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর ফ্যন পেয়ে চাপের মুখে পড়েন যোগী। এরপরই হাথরাসের ঘটনায় গঠন করা হয় সিট। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, তদন্তে ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে সেই ঘটনায় যুক্ত সকলকে লাই-ডিটেক্টরের সামনে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিট। এমনকি তরুণীর পরিবারের সদস্যদেরও সেই পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নির্যাতিতার গ্রাম থেকে এই মূহুর্তে কারো প্রবেশ কিংবা বেরোনো একেবারেই বন্ধ। এদিকে শুক্রবার সকালেই তরুণীর গ্রাম থেকে এক কিশোর বেরিয়ে এসে অভিযোগ করেন, পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। শুধু তাই নয়, তরুণীর বাবাকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ওই কিশোর দাবি করেন, নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান কিন্তু পুলিশ কোনোভাবেই সহযোগিতা করছে না।
এদিকে স্বাভাবিকভাবেই ধর্ষণের ঘটনার পর প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার পরিবারের সাথে কথা বলার অধিকার থাকে সাংবাদিকদের। কিন্তু এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নির্যাতিতার বাড়ির ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামের বাইরে বিশাল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এরপরই শুক্রবার সাংবাদিকদের কোন আইনে আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে রাস্তায় ধরনায় বসেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।