ওয়েব ডেস্ক : এবার খাস কলকাতায় করোনার বলি মাত্র ৫ মাসের শিশু। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই হরিদেবপুরের ওই শিশুটি করোনায় আক্রান্ত হয়। যেহেতু ছোট্ট শিশু, সেকারণে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকা তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ভর্তি করার আগেই চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, জন্মের পর থেকেই শিশুটির হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চলতি মাসের প্রথম দিকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিল, দ্রুত হৃদযন্ত্রে অপারেশন প্রয়োজন। সে মতই তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এরই মাঝে আরেক বিপদ এসে পড়ে৷ শিশুটি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় অস্ত্রোপচারের দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়। এদিকে যেহেতু দুধের শিশু, সুতরাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে শিশুটির সাথে তার মা-কে ভর্তি থাকতে হবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই মায়েরও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেকাণে চিকিৎসকদের পরামর্শমতো বাড়িতে রেখেই শিশুর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যের পরই আচমকাই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়।
অসুস্থ শিশুর বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যের পর থেকেই ৫ মাসের ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মুকুন্দপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা, সেখানে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ওই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হয় না। এরপরই হাসপাতালের তরফে শিশুটির পরিবারকে সরাসরি স্বাস্থ্যভবনে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে বলা হয়৷ শিশুটির বাবা জানান, স্বাস্থ্য দফতরে ফোন করা হলে সেখান থেকে শিশুকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করাতে বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই শিশুটির মৃত্যু হয়। এদিকে আচমকা শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোক নেমে এসেছে গোটা পরিবার।