নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০ তারিখ থেকে শিথিল হয়েছে লকডাউন বিশেষ করে রেড জোন নয় এমন এলাকায়। কৃষি কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ধান কাটা ও অন্যান্য কৃ্ষি কাজ করা যাবে। মাঠে পাকা ধান তাই সুযোগ পেয়েই ধান কাটার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কৃষক। কিন্তু গত সপ্তাহে পরপর ঝড় আর বৃষ্টি পণ্ড করে দিয়েছে সেই আসা। ব্যাপক ক্ষতির মুখে তাঁরা। মাঝের কটা দিন বাদ দিয়ে ফের মুখ ভার আকাশের। রবিবারের পর সোমবারও গোটা রাজ্য জুড়ে ধেয়ে আসছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিকালের পর প্রবল ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিন বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর বিহার থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহারে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড় এর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যার জেরে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর পরিমানে জলীয়বাষ্প ঢুকছে।
আজ রবিবারের মত সোমবারও খড়গপুর মেদিনীপুরের আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। মাঝে মধ্যে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যার পর প্রবল হাওয়া আর জোরালো বৃষ্টির সম্ভবনা। রাজ্যর আরও বেশকিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধেয়ে আসবে ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
টানা ঝড়-বৃষ্টি চলছে বাংলা জুড়ে। ফলে এপ্রিলের শেষবেলায় পৌঁছেও গরম সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রবণতা চলবে। রবিবার বিকেলের পর থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আজ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশিবৃষ্টি হবে সিকিমেও।