ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক ৫ পর্যায়। সে অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে ১৫ ই অক্টোবর থেকে সিনেমা হল, বিনোদন পার্ক সহ দেশের একাধিক পরিষেবা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার গান্ধিজীর জন্ম দিবসের দিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানগুলি খুলে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশাপাশি এদিন থেকেই পুনরায় আলিপুর চিড়িয়াখানা–সহ রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এরাজ্যে এই মূহুর্তে মোট ১২টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই ৫০ লক্ষেরও বেশি পর্যটক প্রতিবছর যান।
এবিষয়ে শুক্রবার রাজ্যের বন দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, “আজ থেকেই রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা খুলে যাচ্ছে। মহামারীর জেরে ১৭ মার্চ থেকে সেগুলি বন্ধ ছিল।” দেশে যতগুলি চিড়িয়াখানা রয়েছে তাদের মধ্যে সব থেকে পুরনো আলিপুর চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, হাতি, সিংহ ছাড়াও রয়েছে নানা প্রজাতির ক্যাঙ্গারু, জিরাফ, অ্যানাকোন্ডা এবং শিম্পাঞ্জির মতো অনেক জীবজন্তু। এদিকে, শুধুমাত্র আলিপুর চিড়িয়াখানা নয়, পাশাপাশি দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় হিমালায়ান প্রজাতির জীবজন্তু সংরক্ষণ করা হয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তার জানান, চলতিমাসেই রাজ্যে উৎসবের মরশুম শুরু হচ্ছে। এরপরই আসছে শীতের মরসুম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেসময় পর্যটকদের ভিড় নামবে। এই সব কারণগুলিই বন বিভাগকে পর্যটকদের জন্য চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানগুলি আবার খুলতে উৎসাহিত করেছে।