ওয়েব ডেস্ক : শেষ হয়েছে বিহার নির্বাচন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছেন নীতিশ কুমার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপাতত উৎসব শেষ সেখানে। এদিকে বছর ঘুরতেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, সেকারণে এবার পাখির চোখ বাংলা। হাতে আর মাত্র ৬ মাস বাকি, ফলে বিজেপির তরফে এখন থেকেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি তৈরি শুরু করা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিজেপি সংগঠনে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নজর রাখবে রাজ্য নেতৃত্বের কাজের উপর। তাছাড়া নির্বাচনী কাজ কোন পথে এগোবে, ব্লক থেকে রাজ্যব্যাপী কিভাবে অভিযান কী হবে এই সকল বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরদারির ভিত্তিতে সব স্থির করবে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব।
এদিকে এবার লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস, সেকারণে গেরুয়া শিবিরের তরফে যে সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি, যতদিন যাবে তত প্রচার–কর্মসূচি ক্রমশ জোরালো হবে বলেই গেরুয়া শিবিরের অন্দর সূত্রে খবর। এদিকে কবিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে সহকারি ইনচার্জ করা হয়েছে। সোমবারই তিনি কলকাতায় এসেছেন। জানা গিয়েছে, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেছেন। ফলে সেখান থেকেই বিজেপির প্রথম প্রচার শুরু হয়ে যাবে। তারপর একে একে মাঠে নামবেন রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিকে অমিত মালব্য-র পর মঙ্গলবারই কলকাতায় আসছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলার দু-তিনটে নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতৃত্বে তিনি কাজ করেছিলেন। ফলে বাংলার বিষয়গুলি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। আর সন্তোষ কিছু বৈঠক করবেন দলকে শক্তিশালী করবেন।” তবে সূত্রের খবর, চলতি মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণবঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ নির্বাচনী প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু পরামর্শ এবং নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে সেগুলি ইতিমধ্যেই কার্যকর করা শুরু করবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আর গোটা বিষয়ে নজর রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি বাংলাকে গুজরাত বানাতে চায়। সোমবার সেকথা প্রায় নিজের মুখে স্বীকারই করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার তিনি বলেন, ‘”এটা ১০০% সত্য। আমরা বাংলাকে গুজরাট বানাতে চাই। কারণ এখন বাংলার মানুষকে কাজের জন্য গুজরাতে যেতে হয়। আগামী দিনে তা আর করতে হবে না।” তবে এদিন দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পাল্টা উত্তর দেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে মূল সমস্যা হল পুলিশের এনকাউন্টার। ২,০০০ মানুষ সেখানে খুন হয়েছেন। ন্যানো কারখানাও সেখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইশরাত জাহান খুনের ঘটনা সবাই দেখেছেন। তাই আমরা বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না।”