নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিনের পৃথক দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধল সুপ্রিম কোর্ট। “কেন্দ্র ও রাজ্যের ভ্যাকসিনের দামের তারতম্য কেন? সরকার যদি দেশকে করোনামুক্ত করার সংকল্প নিয়েই থাকে তাহলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আলাদা আলাদা দামে টিকা কেন কিনবে?” মোদি সরকারকে বিঁধে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের । শুধু তাই নয়, করোনা সংক্রান্ত এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত কোনও তথ্য যাতে গোপন করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে আদালতকেই।
সম্প্রতি করোনা মহামারী নিয়ে দায়ের হওয়া স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে একপ্রকার তিরস্কারই করেন। টিকার দাম থেকে বণ্টন, কেনার প্রক্রিয়া সব কিছুতেই এত বৈষম্য প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের।
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার টিকা উৎপাদনকারী দুই সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক; রাজ্য সরকারগুলির কাছে কী দামে টিকা বিক্রি করা হবে, তা ঘোষণা করে দিয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারগুলিকে টিকা কিনতে হবে দিগুণ বা তারও বেশি দামে।
দেশের শীর্ষ আদালত এ প্রসঙ্গে তীব্র অসন্তোষ করে বলেন, “আপনাদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিলেও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রাজ্যগুলির কাছ থেকে ৩০০-৪০০ টাকা নিচ্ছে। দেশের নাগরিক হিসেবে এই বৈষম্য মানব কেন আমরা?”
পাশাপাশি এদিন, কেন্দ্রের করোনার ভ্যাকসিন-নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ‘কেন্দ্রীয় সরকার কেন ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছে না? কেন একাংশ কিনে বাকিটা নির্মাতা সংস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়া হল। রাজ্যগুলির চাহিদার সমতা রক্ষা কীভাবে ঠিক করবে টিকা নির্মাতা সংস্থা? কোন রাজ্য আগে, কোন রাজ্য পরে ভ্যাকসিন পাবে, তা নির্ধারণের নীতি কী?’ এই সকল প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৮-৪৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “যাঁরা লেখাপড়া জানেন না, কো উইন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁদের ভ্যাকসিনেশন কীভাবে হবে?”