নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ফের ক্ষতির মুখ দেখতে চলেছে পর্যটনশিল্প।আনলক পর্বে ধীরে ধীরে খুলেছিল পর্যটনস্থলগুলি।লাভের মুখ দেখতে না দেখতেই ক্ষতির আতঙ্ক।শিলিগুড়ি সংলগ্ন বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও টয়ট্রেনের জয়রাইড পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি লক্ষ্য করে।
প্রতিদিন প্রচুর মানুষ যেমন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও।অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে।অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে জিম, সুইমিংপুল,শপিংমল,স্পোর্টস কমপ্লেক্স,রেস্তোরাঁ,বার।এদিকে বাজারঘাট খোলার জন্যও একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গতবছরও করোনা আবহে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি।যে কারণে ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছিল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষকে।এবছরও করোনার প্রকোপ বাড়তেই রবিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলেন, রাজ্য বনদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল থেকে বন্ধ করা হচ্ছে পার্ক। নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত পার্ক বন্ধ রাখা হবে।
অন্যদিকে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ফের বন্ধ হল টয়ট্রেন পরিষেবা। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫মে পর্যন্ত টয়ট্রেনের সমস্ত জয়রাইড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে এই নিয়ে চারবার বন্ধ হল পরিষেবা, যা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে(ডিএইচআর) হেরিটেজ সোসাইটির সদস্যরা। আদৌ ১৫ মে-র পর থেকে পরিষেবা শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ ডিএইচআর। ডিএইচআর ডিরেক্টর এ কে মিশ্রা জানান, কোভিড পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে আপাতত পরিষেবা ১৫ দিনের জন্যে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
গত বছর করোনার প্রকোপ শুরু হতেই দেশের অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি ডিএইচআর পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আনলক পরিষেবা শুরু হওয়ার পর পর্যটকের সংখ্যা কম থাকায় দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল টয়ট্রেন। এরপর গত বছরের শেষের দিকে কয়েকটি জয়রাইড চালু করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই মাস ছয়েকের মধ্যে ফের পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল।