ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘদিনের লকডাউনের পরিস্থিতি কাটিয়ে ‘নিউ নর্মাল’এ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশ। এর মধ্যেই দিন কয়েক আগে কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয় অভিভাবকরা চাইলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হবে স্কুল। তবে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলে কেন্দ্রের ঘোষণার পর পরই রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনোমতেই এ রাজ্যের স্কুল কিংবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। মঙ্গলবার বেহালার এক অনুষ্ঠানে একথা স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল বন্ধই রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল খোলার কথা ভাবা হবে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়েন তাঁরা অনেকটাই সিনিয়র। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে স্কুল কী করে খোলা হবে? করোনা মোকাবিলায় যে গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড রয়েছে, তার সদস্যরাও যথেষ্ট শঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা কী ভাবে করানো যায়, ছাত্রছাত্রীদের কাছে কী ভাবে পৌঁছানো যায়, সেটা আমাদের দেখা দরকার। সেটা আমরা দেখছিও। এখন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপর পুনর্বিবেচনা করা হবে।”
একই সাথে এদিন শিক্ষামন্ত্রী এবছর স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রসঙ্গে বলেন, স্নাতক স্তরে কলেজে ভর্তি হতে এবছর রাজ্যের কলেজগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আসন রয়েছে৷ সকল ছাত্রছাত্রী যাতে কলেজে ভর্তি হতে পারে, সেবিষয়ে ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও জানান, এবছর সমস্ত ভর্তি প্রক্রিয়াটাই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। একই সাথে স্কুল খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করলেও এই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি না স্বাভাবিক না হলে কোনোমতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা হবে না।