অশ্লেষা চৌধুরী:অবশেষে পড়ল সিলমোহর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধেই লড়াই করতে পারবে। বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রকাশ্যে আনেন জোটের এই খবর। মাঝে বামফ্রন্ট–কংগ্রেস জোট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তখন এই জোট হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তবে বৃহস্পতিবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জোটের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
অধীর জানিয়েছেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড বাম–কংগ্রেস জোটে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তাবে মঞ্জুরি দিয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকেই স্ট্র্যাটেজি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন বামেরা। যদিও অক্টোবর মাসে সিপিআইএমের তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিষয়ে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। সেই সিলমোহর দিয়েছিল সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। এবার তা সম্পূর্ণ হল কংগ্রেস হাইকমান্ডের সিলমোহরে।
অধীর আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের বিরুদ্ধে আবারও বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াইযের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।’
উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভার নির্বাচনের সময় তামিলনাড়ু, কেরল এবং অসমেও মার্চ–এপ্রিল মাসে ভোট হওয়ার কথা। সেখানে বাংলায় বাম–কংগ্রেস জোট করে লড়াই করবে বলেই খবর। সিপিএম পলিটব্যুরোও সম্মতি দিয়েছে এই জোট এগিয়ে নিয়ে যেতে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই জোট কত আসন পায়।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে মাস খানেক আগেই জোট প্রক্রিয়া শুরু করে বাম ও কংগ্রেস। অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েই সরাসরি জোটবার্তা দেন বামেদের। সেই বার্তা গ্রহণ করতে একেবারেই অসম্মতি জানাননি বাম নেতৃত্ব বরং বিধান রায়ের জন্মদিনে বিধান ভবনে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন বাম নেতারা। বাম – কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে নতুন বছরে একযোগে প্রচারে । সেজন্য পুজোর মধ্যেই দুপক্ষের একপ্রস্থ বৈঠক হয়। এরপরে নভেম্বরে দ্বিতীয় দফার বৈঠক, যেখানে বামেদের দিক থেকে হাজির ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান।