ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির লাগামছাড়া বিলের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। এরপর গত ২২ শে আগষ্ট স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশ্যে বেশকিছু নির্দেশ জারি করা হয়৷ তাতে বলা হয়, হাসপাতালগুলিতে ঢোকার মুখে, রিসেপশনে এবং ক্যাশ কাউন্টারে নির্দিষ্ট বোর্ডে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
কিন্তু স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ রীতিমতো অমান্য করে কলকাতার ছয় বেসরকারি হাসপাতাল৷ সাত দিনের বেশি সময় কেটে গেলেও হাসপাতালগুলি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না করার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চাউর হতেই তা স্বাস্থ্য কমিশনের নজরে আসে। এরপরই ওই ছয় হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য কমিশন।
এদিন স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে কলকাতার ৬টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেই নির্দেশিকায় হাসপাতালগুলির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। আর তাতেই নাম রয়েছে ১)অ্যাপোলো, ২) ফর্টিস, ৩) রুবি, ৪) মুকুন্দপুর আমরি, ৫)সিএমআরআই এবং ৬)ডিসান হাসপাতালের।
তবে যেহেতু সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেকারণে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচের বিস্তারিত তথ্য হাসপাতালের ডিসপ্লে বোর্ডে না দেওয়ার এই অভিযোগ আদৌ সত্যি কিনা তার জন্য হাসপাতালগুলিকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। জানা গিয়েছে, চলতি ২৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুতরাং আপাতত হাতে ২০ দিন সময় পেলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি।