ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নতুন নয়। নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে টুইট কিংবা পত্রবোমা আদানপ্রদান চলতেই থাকে। স্বভাবতই বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যকে একহাত নিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন টুইটে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাদের কার্যত ‘দলদাস’ তকমা দিলেন রাজ্যপাল। তার দাবি, পুলিশ কার্যত দলদাসের ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে ক্রমাগত দুর্ব্যবহার করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের তরফে টুইটারে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেন, “বিরোধী নেতানেত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপর যেভাবে পুলিশ জুলুমবাজি চালাচ্ছে তা মানা যায় না। পুলিশ কার্যত শাসকদলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে। গণতন্ত্রে এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছি। তাঁর কাছ থেকেই সরাসরি আমি শুনতে চাই।”
কয়েকদিন আগেই রাজ্য বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং তাঁর ছেলে পবন সিংকে খুনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এমনকি কোনোরকম তল্লাশির নির্দেশ ছাড়াই পুলিশ তাঁর বাড়িতে হানা দেয় বলেও অভিযোগ করেন খোদ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ঘটনার পরদিনই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে পুরো বিষয়টি জানান অর্জুন সিং। শুধু অর্জুন সিং নয়, এর আগে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা-সহ অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এমনকি আমফানের পর সিইএসসি-র গাফিলতিতে কলকাতার বিভিন্নপ্রান্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে তার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করায় চাঁপদানির বিধায়কে চূড়ান্ত পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হয়। আব্দুল মান্নান এ বিষয়টি রাজ্যপালকে চিঠি লিখেও জানান। এতদিন যাবত প্রত্যেকের অভিযোগ পেয়েই এদিন ভিডিওটি টুইট করেছেন বলেই দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। এদিকে গত ১৫ জুলাই রাজ্যপালের ব্যবহার নিয়ে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ২১ জুলাইয়ের শহিদ মঞ্চ থেকেও রাজ্যপালকে কটূ কথা শোনাতে পিছপা হননি তিনি। তবে বৃহস্পতিবার আরও একবার ভিডিও বার্তা টুইট করে আগুনে ঘি ঢাললেও এখনও পর্যন্ত টুইটের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া রাজ্যের তরফে মেলেনি।