বিশ্বজিৎ দাস: নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করল।গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে একটি রাজনৈতিক জনসভায় আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙে বিশেষ সম্প্রদায়কে তাঁদের ভোট ভাগ না করে তৃণমূলকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বিজেপি। বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশন আগামী দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সেদিন নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার সমস্ত সংখ্যালঘু ভাই–বোনেদের অনুরোধ করছি ভোট ভাগাভাগি হতে দেবেন না।’ ধনেখালির যেখানে মমতা সভা করেন, সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরেই এদিন নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি ছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার কোচবিহারের উত্তর বিধানসভা এলাকায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করার সময় তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করছেন। বহু গ্রামে ঢুকে মহিলাদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছেন।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে গলা চড়ান। সেইসময় তিনি মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে গিয়ে আচমকা বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।’
তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিন বিকালে তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক থাকে না। ওঁরা দেশের জন্য পরিবার-পরিজন ছেড়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন। তাই রাজনৈতিক স্বার্থে সেই জওয়ানদের এভাবে আক্রমণ করা অন্যায়।