Homeএখন খবরলকডাউনে দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে দেখা না হওয়ায় অবসাদে আত্মঘাতী চিকিৎসক

লকডাউনে দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে দেখা না হওয়ায় অবসাদে আত্মঘাতী চিকিৎসক

ওয়েব ডেস্ক : ভীন রাজ্যে আটকে পড়েছেন স্বামী। দীর্ঘদিন দেখা না হওয়ায় অবশেষে আত্মঘাতী হলেন চিকিৎসক। বুধবার দুপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো কলকাতার আর আহমেদ মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হস্টেলে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসী মণ্ডল নানে ওই মহিলা চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। লকডাউনের কারণে গত মার্চ থেকে বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়েন তাঁর স্বামী। দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে দেখা না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলে। সেইকারণেই এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করছেন সহকর্মীরা।

কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সে অনুযায়ী হাসপাতালকে কিভাবে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে তা নয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন সুপার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। সেই সময় সুপারের কাছে খবর আসে, হস্টেলে নিজের ঘরের দরজা খুলছেন না মানসী। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান সুপার। খবর যায় এন্টালি থানায়। পুলিশ গিয়ে মানসী মণ্ডল নামে ওই দন্ত চিকিৎসককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

মানসীর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মানসী মন্ডল নামে ওই দন্ত চিকিৎসকের বাড়ি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। তিনি বিবাহিত। হস্টেলের ওই ঘরে তিনজন থাকেন। তাদের মধ্যে একজন কিছুদিন আগেই ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছেন। এদিন সকালেও তিনি ফোনে কথা বলেছেন সহপাঠীদের সঙ্গে। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ তিনি এক সহপাঠীকে বলেন, তাঁর কলেজ যেতে দেরি হবে। তিনি সামান্য অসুস্থ বোধ করছেন। ওষুধ খেয়েছেন। সামান্য বিশ্রাম নিয়ে তার পর তিনি কলেজে যাবেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তিনি কলেজে না যাওয়ায় সন্দেহ হয় ক্লাসের বাকি পড়ুয়াদের। তাঁরা ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোন বেজে যায়। কোনও সাড়া না পেয়ে পড়ুয়ারা তাঁর ঘরের সামনে হাজির হন। দেখা যায়, ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার ডাকার পরও কোনও সাড়া না পেয়ে হস্টেল সুপারকে জানান বাকি পড়ুয়ারা। তিনি নিজে এসে ডাকেন। তার পরেও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি এন্টালি থানায় খবর দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসীর ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়াতেই আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোট থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা চিকিৎসক প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন। পরিবার এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্বামীকে নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। ঘটনার পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর পুরুলিয়ায় তরুণীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে

RELATED ARTICLES

Most Popular