ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মাদকচক্রের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ইতিমধ্যেই সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। বৃহস্পতিবার ওই ছয় জনের জামিনের আবেদনে এডিপিএস আদালতে শুনানি হয়েছিল। শুক্রবার সেই রায় দানের কথা ছিল। সে অনুযায়ী এদিন আদালতের রায়ে রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, আবদুল বাসিত, জায়েদ ভিলাট্রা, দীপেশ সাওয়ান্ত ও স্যামুয়েল মিরান্ডা- এই ছয় অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল সেশন কোর্ট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিয়া চক্রবর্তীকে বাইকুল্লা জেলেই থাকতে হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
এদিকে এদি সেশন কোর্টে রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ হতেই তাদের আইনজীবী সতীশ মানসিন্ধে ফের উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করবেন বলেই জানা গিয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সতীশ মানেসিন্ধে জানান, “রায়ের কপি হাতে পেলে আমরা আগামী সপ্তাহে বম্বে হাইকোর্টের সামনে জামিনের আবেদন জানাব।” তবে শুধুমাত্র রিয়ার আইনজীবী নন, একই সাথে দীপেশ, স্যামুয়েল সহ বাকি দুই অভিযুক্তের আইনজীবীরাও পুনরায় উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করবে বলেই জানা গিয়েছে। একই সাথে তিনি এদিন বলেন, ” আমার মক্কেল রিয়া চক্রবর্তী কোনওরকম অপরাধ করেননি। এই মামলায় তাকে মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে।”
তবে এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাদকচক্রের সাথে তার যোগাযোগ সহ মাদক সংগ্রহের বিষয়ে একাধিক বিষয় স্বীকার করলেও জামিনের আর্জিতে রিয়া একেবারেই উলটো কথা বলেছেন। রিয়া বলেছেন, এনিসিবির তরফে জোর করে তার থেকে অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে৷ এমনকি রিয়ার তরফে জামিনের আবেদনে আদালতে সমস্ত অপরাধমূলক স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যদিও তাতে আদতে কোনো লাভই হয়নি। বৃহস্পতিবার শুনানিতে এনিসিবি এই ছয় অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হন। এমনকি এনসিবির তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু এই ঘটনায় প্রত্যেকেই প্রভাবশালী, সেকারণে তাঁরা জামিন পেলে সমস্ত তথ্য লোপাট করে দেবে। এরপরই আদালতের তরফে রিয়া সহ ছয় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি আদালতের তরফে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতও মঞ্জুর করা হয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে আপাতত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলই রিয়া চক্রবর্তীর আস্তানা।