নিজস্ব সংবাদদাতা: বিবাহ বার্ষিকীতো অনেকেই অনেকভাবে উদযাপন করেন, তাবলে বিবাহ বার্ষিকীতে রক্তদান? হ্যাঁ এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। মেদিনীপুর ছাত্র সমাজের সভাপতি কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী নিজের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজন করেছিলেন রক্তদান শিবিরের। এদিন নিজের বাড়িতে মেদিনীপুর ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশন এবং এগরা ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোক্তারা জানান এদিন প্রায় পঞ্চাশ জন রক্তদাতা রক্ত দিয়েছেন। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে রক্তের যোগান প্রায় তলানিতে, এই অবস্থায় এরম শিবির আসার আলো দেখাচ্ছে।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি চক্রবর্তী দম্পতি। উপস্থিত সমস্ত অতিথিদের হাতে স্মারক হিসেবে মুসাম্বি এবং রক্তচন্দনের চারা তুলে দেন তাঁরা। অনেক জায়গাতেই রক্তদান শিবিরে একাধিক স্মারক দেওয়া হয়। তবে এই স্মারক কার্যত একেবারেই অন্যরকম। রক্তদানের স্মারকেও তাঁরা একরকম ছাপ রেখে গেলেন প্রকৃতির কথা ভেবে।
গতবছর তাঁদের বিয়ের প্রীতিভোজেও তাঁরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। সেখানেও প্রচুর অতিথিরা রক্ত দিয়েছিলেন। কৃষ্ণগোপালের বাবা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন,”বড় ছেলে ও বৌমার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে এহেন রক্তদান শিবির আয়োজনে আমি ভীষন খুশী।বিগত বছরে প্রীতিভোজেও এই শিবির হয়েছিল। সমাজের সকলে সামাজিক অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির করে এগিয়ে আসুক এটাই চাই।” এমনিতেই সারা বছর বৃক্ষরোপন, রক্তদান শিবির, আপদকালীন প্রয়োজনে রক্ত জোগাড় করা বা অনুষ্ঠানের বেশি হওয়া খাবার মেদিনীপুরের পথে থাকা ভবঘুরেরদের জন্য পৌঁছে দেবার মতো সামাজিক কাজ করে মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ। তাদের সভাপতির এরকম একটা পদক্ষেপ যে বাকি সদস্যদেরও আগামীতে উদ্বুদ্ধ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখবেনা।