নিউজ ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই চুম্বকে পরিণত হল মানব শরীর। এমনই এক অবাক করার মত ঘটনা চোখে পড়লো শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা নেপাল চক্রবর্তীর সাথে ঘটছে এই অবাক করার মত ঘটনা। চুম্বকে পরিণত হয়েছে শরীর। হাত,খুন্তি, কয়েন, সব কিছুই আটকে যাচ্ছে শরীরে।
হঠাৎ কেন এমন হল? এ বিষয়ে নেপাল বাবু বলেন, শুক্রবার তিনি টিভিতে দেখছিলেন যে অনেকজনের ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পর, শরীর চুম্বকে পরিণত হয়েছে। সেই দেখেই তিনি নিজের শরীরের ওপরও তা পরীক্ষা করেন। এরপরই দেখেন চামচ থেকে শুরু করে হাতা, খুন্তি সব তার শরীরেও আটকে যায় একই ভাবে। পয়সা ছুঁড়লে তাও আটকে যাচ্ছে শরীরে।
এই ঘটনায় অবাক নেপাল বাবু। তিনি আরও বলেন, ৭ই জুন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তিনি। এরপর ১১ই জুন এরকম হতে শুরু করে তার সাথে। এটি ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী না, তা তিনি জানেন না। এটি ছাড়া তার সেরকম কোনও শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে না বলেও জানান নেপাল বাবু।
আর শুধু শিলিগুড়িতেই নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলেও। সেখানকার রেলপার সুকান্ত পল্লী এলাকায় যুবক অঙ্কুশ কুমার সাউয়ের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। অঙ্কুশ জানান, ৫ দিন আগেই তিনি নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। রবিবার দিন তিনি টিভিতে খবর দেখছিলেন। সেখানে দেখানো হচ্ছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই কোনও এক ব্যক্তির গায়ে চামচ, হাতা-খুন্তি থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সবটাই আটকে যাচ্ছে। এই দেখে অঙ্কুশ নিজের শরীরেও চামচ লাগিয়ে বিষয়টি পরখ করে দেখতে গেলে দেখেন সত্যি সত্যিই তাই।
এছাড়াও, আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় এমন ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহরের এক ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন রুদ্র পালের সাথে এমন ঘটনা ঘটে। ওনার বাড়ি উত্তর বাধারঘাটে। মনোরঞ্জন বাবুর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরে, শরীরে পয়সা, চামচ ও অন্যান্য পাত্র আটকে যাচ্ছিল।
তাকে এই ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার ভাই একদিন বাড়িতে এসে জানিয়ে ছিল যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কয়েকজনের শরীর চুম্বকে পরিণত হচ্ছে। এর জন্য তার শরীরে এই ঘটনার সত্যতা আছে কী না তা পরীক্ষা করতে চাচ্ছিলেন মনোরঞ্জন বাবুর ভাই। কিন্তু ভাইয়ের এই কথা নিছক এক মজা ভেবে উড়িয়ে দেন মনোরঞ্জন বাবু। এরপর তিনি টিভিতে ভাইয়ের বলা সেই ঘটনা সম্পর্কিত খবর দেখতে পান এবং সঙ্গে তা দেখান তার স্ত্রী ও কন্যাকেও। তারা দুজনেই মনোরঞ্জন বাবুর শরীরের ওপর তা পরীক্ষা করতে চান। এরপর বাটি, চামচ, পয়সা ও অন্যান্য পাত্র তার শরীরে লাগলে, সেসব আটকে যায়। এর কারণ জানেন না মনোরঞ্জন বাবু। এরপরই তা নিয়ে সৃষ্টি হয় নানান কৌতূহল ও সেইসঙ্গে অজানা ভয়।