ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ ৭ মাস যাবত গোটা বিশ্বে রীতিমতো তান্ডব চালাচ্ছে করোনা। তবে ইতিমধ্যেই ভারত সহ বিভিন্ন দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ফলে আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই আসছে করোনার প্রতিষেধক। সে অনুযায়ী অনেকেই মনে করছেন আগের তুলনায় এখন তেমন উদ্বেগের কারণ আর নেই। তবে হু এর মতে ভাইরাসটির সংক্রমণের ভয়াবহ পর্যায় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই গোটা বিশ্বে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম জ্বর-শ্বাসকষ্ট জাতীয় উপসর্গ নিয়ে নিউমোনিয়া জাতীয় একপ্রকার রোগের উৎপত্তি হয়। প্রথমে নিউমোনিয়া মনে হলেও এক সময় তা গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে মহামারীর রূপ নেয়। এক পর্যায়ে মনে করা হচ্ছিল ২০০২ সাল থেকে থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সার্স নামক যে মহামারির সৃষ্টি হয়েছিল এই রোগটি তার মতই৷ সার্সে মারা গিয়েছিল মাত্র ৭৭৪ জন। বর্তমানে দিন যত এগোচ্ছে ততই বোঝা যাচ্ছে দিনে দিনে আরও এই মহামারি আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখবে গোটা বিশ্ব।
এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দু কোটি মানুষ। ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মারা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ‘হু’এর পরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানান, ” করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষা করছে। এই রকম পরিবেশ ও অবস্থা চলতে থাকলে, আমরা সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি। সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সব দেশের সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরুর সঙ্গে পূর্বের মতোই পরীক্ষা, শনাক্ত, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। আমরা চাই চলমান পরিস্থিতির অবসান হোক। আমরা চাই প্রতিটি জীবন বাঁচুক। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো, এ পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে না।” পাশাপাশি হু এর পরিচালক বলেন, “কিছু দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি হলেও মহামারি আরও দ্রুত তার বিস্তার ছড়াচ্ছে এবং সামনের মাসগুলোতে বিশ্বের আরও বেশি সহনশীলতা, ধৈর্য ও উদারতার প্রয়োজন হবে।”