নিউজ ডেস্ক: প্রবল বেগে ইতিমধ্যেই ভারতের বেশ কিছু জায়গায় আছড়ে পড়ছে ‘তাউকত’। কেরলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ জেলা, ৩ টি উপকূলীয় জেলা এবং ৩ টি মালনাড জেলায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ৭৩ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অন্যদিকে ‘তাউকত’ ঝড় আস্তে আস্তে এক বিশাল আকার ধারণ করছে। এটি গুজরাট উপকূল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদ্রা-নগর হাভেলি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গোয়া সহ সিন্ধুদুর্গ ও রত্নগিরি জেলা বেশিরভাগ বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে ঝড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুক্ষণ পর কথা বলবেন। ইতিমধ্যেই, আইএমডি একটি ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করেছে, যার অর্থ রবিবার ও সোমবার পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পুরো কোঙ্কন এবং পার্বত্য অঞ্চলে, প্রধানত কোলাপুর ও সাতরায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আইএমডি জানিয়েছে যে, ১৮ ই মে বিকেলে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এবং পোরবন্দর ও নালিয়ার মধ্যে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ ই মে, মুম্বই সহ উত্তর কোঙ্কনে কয়েকটি জায়গায় প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ভারতীয় বিমানবাহিনী, নৌ ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী কয়েকদিনে দেশের পশ্চিম উপকূলে ‘খুব ভারী’ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ভারী বৃষ্টির অনুমানের কারণে লাক্ষাদ্বীপের আগাট্টি বিমানবন্দরে যাওয়ার সমস্ত নির্ধারিত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। বিমান বাহিনী উপদ্বীপ অঞ্চলে ১৬ পরিবহন বিমান এবং ১৮ টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে। আইএল-৭৬ বিমানটি ১২৮ জন কর্মী এবং ১১ টন কার্গো নিয়ে ভাটিন্ডা থেকে জামনগরে পৌঁছেছে।
এটি ২০২১ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ঝড়, মায়ানমার এর নাম দিয়েছে ‘তাউকত’ , যার অর্থ ‘গরম জলবায়ুতে পাওয়া টিকটিকি ‘। এই ঝড়টি কারণে লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জেলেদের সমুদ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।