নিজস্ব সংবাদদাতা: স্মরনাতীত কালের মধ্যে বড়সড় ভুল করে বসল ভারতীয় বিমান বাহিনীর বায়ুসেনার জওয়ানরা। নির্দিষ্ট এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার বাইরে গিয়ে লোকালয়ের গা ঘেঁষে বোমা ফেলল তারা। মাত্র কয়েকশ মিটারের ব্যবধানে বেঁচে গেল একটা গোটা গ্রাম। একটু এদিক ওদিক হলেই উড়েই যাচ্ছিল ৬০০ জনসংখ্যা সহ একটা পুরো গ্রামই। বৃহস্পতিবার দুপুরে মারাত্মক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানা এলাকার রাজবাঁধ গ্রাম সংলগ্ন কৃষি জমিতে।
ঝাড়গ্রাম জেলার কেশিয়াপাতাতে অবস্থিত সাঁকরাইল থানার সদর দপ্তর। সেই কেশিয়াপাতা সংলগ্ন গ্রাম রাজবাঁধ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৩০ মিনিট নাগাদ ব্যাপক গর্জন করে উড়ে আসে একটি বোমারু বিমান, তারপর একটু নিচু হয়ে ফেলে যায় কয়েক টনের একটি বোম। রাজবাঁধ গ্রামের লোকালয় থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরত্বেই চাষের জমিতে ওই বোমটি পড়ে সোজা ঢুকে যায় মাটির অনেক গভীরে।
পুলিশ জানিয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কলাইকুন্ডা এয়ারবেস থেকে মহড়া দেওয়ার জন্য জঙ্গলঘেরা দুধকুন্ডির ফাঁকা জায়গায় মাঝেমধ্যেই এই ধরনের মহড়া হয়ে থাকে।
প্রধানত মেঘমুক্ত শীতকালকেই বেছে নেওয়া হয় এই মহড়ার জন্য। আকাশ থেকে ভূমিতে নির্দিষ্ট নিশানায় ফেলা হয় বোম। যা দুধকুণ্ডি বোম্বিং এরিয়া নামেই পরিচিত। আজ সেই মহড়া চলাকালীনই টার্গেট মিস করে বোম্বিং এরিয়া থেকে ১ কিলোমিটার দুরে গিয়ে চাষের জমিতে পড়ে।ভাগ্যিস সেই সময় জমিতে কেউ ছিল না।থাকলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারত।’
ঘটনার পরেই কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থেকে বোমস্কোয়াডের লোকজন ছুটে আসে নরম মাটিতে পড়া না ফাটা বোমাটি উদ্ধার করতে কিন্তু বোমটি মাটির গভীরে এতটাই ঢুকে গেছে যে সেটা আজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দারা জানিয়েছেন কৃষিজমিতে পড়াতেই হয়ত এ যাত্রা বেঁচে গেছি আমরা। জমিতে জল থাকায় মাটি নরম হয়েছিল আর সে জন্যই ফাটেনি বোমাটি। নাহলে আজ কতজনের জীবন যেত কে জানে?