নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোররাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল ডুবে গেল বৃষ্টির জলে। তমলুক শহরের সদর জেলা হাসপাতালে বাইরের এক হাঁটু জল পেরিয়ে রোগীর পরিবার এবং রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালের ভেতরে। সব চেয়ে বড় কথা জল থৈথৈ করছে মেল মেডিকেল। ওই অবস্থাতেই চিকিৎসকরা রোগি দেখেছেন, নার্সরা রোগিদের সেবা করছেন আর রোগির পরিজনরা পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন রোগির কাছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হাসপাতালে রোগিদের জন্য রান্নার করার জায়গায়। এক হাঁটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে রান্না চলছে রোগীদের। দীর্ঘদিন ধরে জেলা হাসপাতালে নূতন মেডিকেল কলেজের কাজ চলছে। বিভিন্ন জায়গায় ড্রেন আটকে কাজ চলছে। ফলে বৃষ্টি হলেই ডুবছে জেলা সদর হাসপাতাল। গত কয়েকবছর ধরেই এই একই দৃশ্য দেখা গেলেও করোনা ক্রান্তির বছরেও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের।
এক রোগির আত্মীয় জানালেন, “আমার রোগির পেটের সমস্যা। চিকিৎসক বলেছেন পেটের কিছু ছবি করাতে হবে কিন্তু আমি রোগিকে নিয়ে বাইরে যাব কী করে?গোটা ওয়ার্ড জলে ভরে আছে। গোড়ালি অবধি জল। হাসপাতালের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাঙ, পোকা মাকড়। একটা হাসপাতালের যদি এই অবস্থা হয় তো মানুষ যাবে কোথায়? হাসপাতালে রোগি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
হাসপাতালের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে গোটা চত্ত্বর জলে ভরে আছে। নালা নর্দমার জল থেকে বর্জ্য আবর্জনা ভাসছে জলে। সেই জল ঠেলেই মানুষ প্রবেশ করছেন হাসপাতালে। তবে এত সবের মধ্যেও স্বস্তির কথা শুনিয়েছেন হাসপাতালের এক কর্মচারী। গর্বের সঙ্গে বলেছেন, “এ বছর এখনও ভাল অবস্থা আছে। অন্য বছর ডাক্তার বাবুকে ট্রলিকে বসিয়ে রোগিদের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হয়। এ বছর তবু তো ডাক্তার বাবু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোগি দেখতে পারছেন।”