নিজস্ব সংবাদদাতা: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারে বিজেপি। আর সেই তালিকা চূড়ান্ত করতে দিল্লিতে ডাক পড়েছে শুভেন্দুর। বিজেপির রাজ্য কমিটির এক নেতা জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে বিশেষ ভাবে ডেকে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ জী।”
ফলে কালক্ষেপ করেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী জনসভা করছিলেন খড়গপুর গ্রামীন থানার অধীন পিংলা বিধানসভা এলাকার চক গোবিন্দতে। সেই সভা শেষ করে তিনি সোজা চলে যান কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানে বিশেষ চার্টার বিমানে আরও ৭জন বিজেপি কর্মকর্তার সঙ্গে উড়ে যান দিল্লির উদ্দেশ্যে, ঘড়িতে তখন রাত ৮.০৫।
বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হচ্ছে বাংলার প্রথম ২দফার নির্বাচনের জন্য ৫৫জন বিধায়কের নাম চূড়ান্ত করার বৈঠক। দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় অফিসের এই সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলা থেকে হাজির থাকার কথা রয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়। যাচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং শুভেন্দুর পরেই বিজেপি-তে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই অমিত শাহ অধিকারীকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে ডেকে পাঠিয়েছেন।
গত তিনদিন ধরে বাংলার প্রথম দু’দফার ৫৫টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে কাল ঘাম ছুটছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। দলের পুরানো এবং নতুনদের মধ্যে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে, নিষ্ক্রিয় সক্রিয় সদস্যের তুল্য মূল্য বিচার করে, বিদ্রোহের সম্ভবনা মাথায় রেখে শ’তিনেকের একটি তালিকা প্রস্তুত হয়েছে, বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে বেশ কিছু নামও। কথা আছে সেই তালিকা চূড়ান্ত করবেন অমিত শাহ। শুভেন্দু রাজ্য কমিটিতে নেই। তালিকা তৈরিতে তিনি অংশ নেননি কিন্তু পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার প্রার্থী তালিকা শুভেন্দুকে ছাড়া? মানতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাই ডাক পড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেই ডাক পেয়েই খড়গপুর থেকে বিমানবন্দরে ছুটে গেছেন তিনি।
নিজে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যেই নির্বাচনী রেওয়াজ মেনেই একদিন আগেই জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বুধ, বৃহস্পতি দলের হয়ে টানা প্রচার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। বুধবার ছিল তমলুক আর পিংলা বিধানসভা ক্ষেত্র। এদিকে অমিত শাহ দলের রাজ্য নেতাদের কাছে জানতে চান বৃহস্পতিবার দিল্লির সভায় কারা কারা আসছেন? সেখানেই তিনি জানতে পারেন যে শুভেন্দু আসছেননা। এরপরই তিনি শুভেন্দুকে সরাসরি ফোন করেন। বলেন এই মিটিংয়ে তাঁর থাকাটা খুবই জরুরি। তিনি যেন সব ছেড়ে ছুড়ে দিল্লি চলে আসেন। শুভেন্দু সাথে সাথেই যোগাযোগ করেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। অমিত শাহ বিষয়টি জানিয়েছিলেন এক রাজ্য নেতাকেও। যে কারনে বিমানবন্দরে চার্টাড বিমানটি অপেক্ষা করে তাঁর জন্য।
জানা গেছে শুধুই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত নয় সঙ্গে রয়েছে ৭ই মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার প্রস্তুতি বৈঠক। সেই সভায় বাংলার ভোটের প্রথম দু’দফার প্রার্থীদেরও হাজির করতে চলেছে বিজেপি। বলাবাহুল্য সেই কাজটিও তদারকির কাজে থাকছেন একদা দুই মেদিনীপুর ও জঙ্গল মহলের বেতাজ বাদশাই।