Homeএখন খবরঝাড়গ্রামে অশান্তির নায়ক বলে ছত্রধর মাহাতকে তুলোধুনো শুভেন্দু অধিকারীর

ঝাড়গ্রামে অশান্তির নায়ক বলে ছত্রধর মাহাতকে তুলোধুনো শুভেন্দু অধিকারীর

অশ্লেষা চৌধুরী: মাওবাদীদের সম্মুখ ভাগের সংগঠন জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র ছত্রধর মাহাতকে তুলোধুনো করলেন সদ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মাওবাদী পর্বে ঝাড়গ্রামের অশান্তির নায়ক বলে কার্যত মাহাতকেই তিনি দায়ী করেছেন। বুধবার ঝাড়গ্রামের এক জনসভায় তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ কে? ১০ বছর জেলে ছিলেন যিনি। আপনাদের মনে নেই?”

বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস মাঠে দলীয় সভায় শুভেন্দু অবশ্য নাম নেননি করে ছত্রধর মাহাতের। তবে নাম না নিয়েও তিনি যেভাবে ছত্রধরের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাতে একটি শিশুও বুঝতে পেরেছে তিনি আসলে কাকে উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বলেছেন। যেমন শুভেন্দু বলেন, ‘এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ কে? ১০ বছর জেলে ছিলেন যিনি। আপনাদের মনে নেই? জোর করে মিছিলে হাঁটাতো। জনসাধারণের কমিটি অত্যাচার করেনি? ঝাড়গ্রাম শহরকে ৩৭ দিন বন্ধ রেখেছিল।’

এছাড়াও এদিন শুভেন্দু দাবী করে বলেন, ‘ওর সঙ্গে লোক নেই। ২০০১ সালে ঝুড়ি চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাড়ে ১৫ হাজার মাত্র ভোট পেয়েছিল। ভয় একদম পাবেন না।‘ ‘ঘরে সাবমারর্সিবল পাম্প বসিয়ে নিয়েছে সরকারি টাকায়। দোতলা পাকা বাড়ী করেছে সরকারি টাকায়। একটা ছেলেকে পুলিশের ইনফরমারে ঢুকিয়েছে। আরেকটাকে দিয়েছিল আমার ঘাড়ে। লালগড়ের বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে ঢুকিয়ে রাখতে হয়েছে। ওই নবান্নর নির্দেশ। আমরা তো কর্মচারী ছিলাম।‘ যোগ করেন শুভেন্দু।

এরপরেই নিজের বর্তমান দলের প্রতি প্রশংসা করে শুভেন্দু জনসাধারনকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজকে আপনাদের বলি, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী লোকগুলোকে একদম সুযোগ দেবেন না। আদিবাসীদের স্বার্থ যদি কেউ রক্ষা করে থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি করেছে।’

প্রসঙ্গত, বাম জমানার শেষ দিকে মাওবাদীদের মদতে জঙ্গলমহলে তৈরি হয় জনসাধারণের কমিটি। ২০০৯ সালে শালবনীদের জিন্দালদের কারখানার শিলান্যাস করে ফেরার পথে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সেই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন ছত্রধর।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে হামলার পর ছত্রধরকে দেশদ্রোহিতার মামলায় জেলে ভরে বাম সরকার। ১০ বছরের কারাবাসের পর গত বছর তাঁকে মুক্তি দেয় তৃণমূল সরকার। এর পর তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পান তিনি। এদিকে বরাবরই জনসধারণের কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করে এসেছে বামেরা। আর এই ঘটনার পর বাম ও বিজেপির দাবী, জঙ্গলমহলের দখল ফিরে পেতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular