ওয়েব ডেস্ক : দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার দাপট। তারওপর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে৷ এই পরিস্থিতিতে আইসিএসসি ও আইএসসি বোর্ডের বেশ কিছু পরীক্ষা বাকি রয়েছে। কিন্তু এই মূহুর্তে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এতটাই ভয়াঙ্কর যে সামাজিক দূরত্ব মানলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সিআইএসসিই একটি বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেন, পরীক্ষার্থীরা চাইলে আইসিএসসি ও আইএসসি বোর্ডের বাকি থাকা পরীক্ষা না-ও নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার পরিবর্তে ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট-এর নম্বরের ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
গত মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল আইসিএসসি ও আইএসসি পরীক্ষা। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর জুলাই মাসে ফের সেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এরপরই আইসিএসসি বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বাই হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন অরবিন্দ তিওয়ারী নামে এক ব্যাক্তি। সোমবার সেই পিটিশনের শুনানিতে বোর্ডের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অরবিন্দ তিওয়ারির পিটিশনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আইসিএসসি বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষার্থীদের বিগত পরীক্ষার গ্রেড এবং অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় মূল্যায়নের ভিত্তিতে ঘোষণা করা সবচেয়ে সুরক্ষিত হবে। যদিও মহারাষ্ট্র সরকার অনেক আগেই বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথাই জানিয়েছিলেন। এবিষয়ে আইসিএসসি বোর্ডের সিদ্ধান্ত শোনার পরে বুধবার ফের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।
এবিষয়ে আইসিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সমস্ত আইসিএসসি ও আইএসসি অনুমোদিত স্কুলগুলিকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হবে। এরপর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিষয়টি জানিয়ে তারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক কিনা সে বিষয়ে ২২ জুনের মধ্যে জানতে চাওয়া হবে৷ যদি তারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না হয় তবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশিত হোক। এবিষয়ে আইএসসি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ইইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীদের যে যে বিষয়ের পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষা বা প্রাক-বোর্ড পরীক্ষায় সেই বিষয়গুলির প্রাপ্ত নম্বরগুলির ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে এরাজ্যেও বাতিল হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এরপর আগামী ২, ৬ ও ৮ জুলায় উচ্চমাধ্যমিকের বকেয়া পরীক্ষাগুলি নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০% আগের দুটি সেমিস্টারের প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হবে। আর বাকি ৫০% নম্বর দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসাইনমেন্ট, ফোন ভাইবা কিংবা অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে নম্বর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য শিক্ষা দফতর।